tmc, bjp, বিজেপি করায় গাছে বেঁধে বেধারক মারধর, west bengal politics, ভোট পরবর্তী হিংসা
ছবি - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এখনো পর্যন্ত ভোট পরবর্তী হিংসায় আগুন জ্বলছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। বিজেপিকে সমর্থন দেওয়ায় গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর করল তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। সেই ঘটনাই সামনে উঠে এসেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে, উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া এলাকায়। বিজেপিকে ভোট দেওয়ায় তাদের বড় অপরাধ বলে জানা গিয়েছে। বিজেপি কর্মীদেরকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এসে গাছে বেঁধে মারধর করে তৃণমূল কর্মীরা। এছাড়াও কান ধরে উঠবস করানো হল তাদের। রীতিমতো রাজনীতিকে কেন্দ্র করে আগুন জ্বলছে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া এলাকায়।

জানা গিয়েছে, চোপড়া এলাকার একজন ভারপ্রাপ্ত বিজেপি কর্মী সমর্থক হলেন রহিমুদ্দিন। এর আগেও তাকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা চালিয়েছে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা। তবে এবার তাকে প্রাণে মেরে না ফেলে, গ্রামবাসীর সামনে হাজির করে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হলো। শুধু তিনি একা নন, ওই এলাকায় রহিমুদ্দিন এর সঙ্গে যুক্ত বিজেপি কর্মীদের কেউ ধরে বেধড়ক মারধর করা হলো। এছাড়াও কান ধরে উঠবস করানো হল গ্রামবাসীর সামনে।

এছাড়াও ভবিষ্যতে তারা যেন আর কোনদিন বিজেপি না করেন সেই উদ্দেশ্যে লিখিত কাগজপত্র জমা দিতে হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। সম্পূর্ণ ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে সেখানে উপস্থিত এক ব্যক্তি ক্যামেরাবন্দী করেন এই দৃশ্য। এরপর নেট দুনিয়ায় ভিডিওটি ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় ওঠে।

এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে, বিজেপি জেলা সহ-সভাপতি সুরঞ্জিত সেন জানিয়েছেন, “নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্যে সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। এই যুবকদের উপর অত্যাচারের পরবর্তীতে পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও উঠছে নানা প্রশ্ন। এখন তাদের অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।”

তৃণমূল কংগ্রেসের উপর তোলা এই অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করছে স্থানীয় তৃণমূল সমর্থকরা। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় তৃণমূল নেতা মোহাম্মদ হানিফ জানিয়েছেন, “ঘটনাটি বিজেপি করার জন্য নয়। মাঠ থেকে গরু নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করেই এই ঝামেলা হয় এবং তারপরে মিটেও যায়। তাছাড়া রহিমুদ্দিন তৃণমূল পরিবারের ছেলে। গেরুয়া শিবির চক্রান্ত করে এই সব মিথ্যে ঘটনা রটাচ্ছে।”