শীতলকুচি, কোচবিহার, বোমা, ভোট গণনা,
চিত্র- সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচন ভোটের আজ ফলাফল প্রকাশ হতে চলেছে। ভোট আবহের মধ্য দিয়ে রণক্ষেত্রের ময়দান সৃষ্টি হয়েছিল কোচবিহারের শীতলকুচিতে। ফের ভোট পরবর্তী হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে সেখানে।

আজ হতে চলেছে ভোট গণনা। কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা কেন্দ্রও হতে চলেছে ভোট গণনা। তারমধ্যে শীতলকুচি কেন্দ্রের ভোট গণনাও হবে ওই কেন্দ্রে। সাত সকালেই মাথাভাঙ্গা ভোট গণনা কেন্দ্রের বাইরে উদ্ধার হল তাজা বোমা। রীতিমত ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

জানিয়ে রাখি, বঙ্গে অষ্টম দফায় বিধানসভার নির্বাচন ভোট সম্পন্ন হয়েছে। তারমধ্যে চতুর্থ দফায় নির্বাচন হয়েছে কোচবিহারের শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রে। রীতিমতো রণক্ষেত্রের ময়দান সৃষ্টি হয় শীতলকুচি ১২৬ নম্বর বুথে। সকাল সকাল ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে প্রাণ হারায় ১৮ বছরের তরুণ যুবক আনান্দ বর্মণ।

এই ঘটনার কিছু সময় পর বেলা দশটা নাগাদ কেন্দ্র বাহিনীকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা চালায় গ্রামবাসীরা। জীবন রক্ষার তাগিদে গুলি চালায় কেন্দ্র বাহিনী। কেন্দ্র বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারায় চার যুবক। এই ঘটনাকে ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। তবে শীতলকুচি তে বন্ধ করা গেল না ভোট পরবর্তী হিংসা।

জানা গিয়েছে, সাতসকালে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়ির সামনে পড়ে থাকতে দেখা যায় তাজা বোমা। ওই বোমা এলাকার মানুষের চোখে পড়তেই দ্রুত পার্শ্ববর্তী থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এই ঘটনাটি কারা ঘটিয়েছে সে বিষয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে পুলিশের কাছে।

বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। এই ঘটনার পেছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ ঘাসফুল শিবিরের। তবে স্থানীয় বিজেপি সমর্থকরা এই অভিযোগ খারিজ করেছে বলে জানা গিয়েছে। বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, তৃণমূলের লোকেরাই এই কাজ করছে, আর ধামাচাপা দিতে বিজেপির দিকে আঙুল তুলছে তৃণমূল।