সুভেন্দু আধিকারি, suvendu adhikari, mamata banerjee, bjp,tmc
তথ্য তুলে ধরে "দুয়ারে সরকার"কে "দুয়ারে গর্ত" বলে কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী | ছবি - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রাজ্য তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বর্তমান রাজ্যের পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয়। রাজ্য সরকারের দেওয়া একটি নির্দেশিকাতে সেটি জানা গিয়েছে। আর সেই তথ্য সামনে আসতেই রাজ্য সরকারকে নিশানায় নিয়ে “দুয়ারে সরকার” প্রকল্পকে “দুয়ারে গর্ত” বলে আখ্যা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প “লক্ষীর ভান্ডার” নিয়ে আর্থিক সমস্যার একটি রিপোর্ট প্রকাশ এসেছে। এছাড়াও মমতা সরকারের তরফ থেকে পূর দপ্তরকে সাফ সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, খুব ভাবনা চিন্তা করার পর যদি দরকার পড়ে তাহলে খরচ করতে হবে। রাস্তাঘাট খারাপ হলে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যদি খুব দরকার না পড়ে তাহলে খরচ করা যাবে না। যতক্ষণ না রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের ও রাস্তা চওড়া করার কাজ শুরু করা যাবে না।

মমতা সরকারের এইসব তথ্যগুলোকে সামনে রেখেই খোঁচা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বর্তমান বিরোধীদলীয় নেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপির বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী এদিন টুইট করে রাজ্য সরকারকে নিশানায় নিয়ে বলেন, “রাজ্য সরকার দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। আর তাঁর প্রভাব পড়েছে পূর্ত দফতরের উপর। ৬০ শতাংশ বাজেটে কাটছাঁট করার পরেও আধিকারিকদের খরচ বাঁচানোর নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। উন্নয়ন উল্টো দিকে চলছে। রাজ্য সরকারের নতুন প্রকল্প ‘দুয়ারে গর্ত’।”

রাজ্য সরকার-এর দ্বারা পরিচালিত দুয়ারে সরকার প্রকল্পকেই দুয়ারে গর্ত বলে আখ্যা দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুধু এই নয়, এর আগে তিনি লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়েও রাজ্য সরকারকে নিশানায় নিয়েছিলেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে মা বোনেদের লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ভোট পরবর্তীতে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য একাধিক শর্তাদি রাখা হয়েছে। যার কারণে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা বর্তমান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য সরকারকে তোপ দেগে বলেন, বাংলার মা-বোনেদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে।