ওয়েব ডেস্কঃ গোটা দেশজুড়ে চলছে করোনা যুদ্ধ। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগেই করোনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শুরু করা হয়েছে করোনা টিকাকরণ প্রক্রিয়া। গত ১৬ জানুয়ারি প্রথম দফার টিকাকরণ শুরু হয় ভারতে। শনিবার প্রথম দফার করোনা টিকাকরণ করা হয় কভিড যোদ্ধা অর্থাৎ স্বাস্থ্যকর্মীদের শরীরে।
সূত্রের খবর, দ্বিতীয় দফায় ভ্যাকসিন পাবেন ৫০ এর অধিক বয়স্ক মানুষেরা। ৭০ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও দ্বিতীয় দফায় করোনা টিকা নেবেন বলে জানা গিয়েছে। তবে শুধু প্রধানমন্ত্রী একাই নয়। ৫০ এর আশেপাশে অথবা পঞ্চাশের ঊর্ধ্ব বয়সী সমস্ত মন্ত্রীরা এবং রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের কেও দ্বিতীয় দফায় টিকা দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যেহেতু ভারতে পঞ্চাশের ঊর্ধ্ব বয়সী মানুষের শরীরে হাইপার টেনশন, ডায়াবেটিস এর মত সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি থাকে। এইজন্যই দ্রুতগতিতে মধ্য বয়স্কদের শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা। পঞ্চাশের ঊর্ধ্ব বয়সী এবং পঞ্চাশের কম অথচ কো মর্বিডিটি রয়েছে এমন ব্যক্তিদের কো-ভ্যাকসিন দেওয়া হবে দ্বিতীয় দফায়।
দ্বিতীয় দফায় দেশের প্রধানমন্ত্রী সহ মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজনৈতিক কর্মীরা টিকা নেবেন বলে খবর। সূত্রে খবর, যে সিস্টেমে করোনা টিকাকরণ চলছে তা কিছুতেই যেন ভঙ্গ না হয়। এমনটাই জানিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, সবার আগে কোভিড যোদ্ধাদের শরীরে টিকা করন করা হবে। কোভিড যোদ্ধাদের টিকাকরণের মাঝে ঢুকে না পরাই শ্রেয়। সময় হলে রাজনীতি কর্মীসহ সবাই পাবেন টিকা। এ বিষয়ে আগেই সতর্ক করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।