নরেন্দ্র মোদী, কোভ্যাকসিন, করোনা টিকা
ছবি - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ- করোনা ভ্যাকসিন এর টিকা নিয়ে বারংবার বিভিন্ন রকম সমালোচনা করা হয়েছে দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির তরফ থেকে। দেশের নাগরিকদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে বিভিন্ন রকম ভুল তথ্য। তবে এবার দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিজে ভারতের বৈজ্ঞানিকদের দ্বারা তৈরি কোভ্যাকসিন নেওয়ার পর আশা করা হচ্ছে সমস্ত মানুষের কাছে এই ভ্যাকসিন নিয়ে ভুল ধারণা কেটে যাবে।

ভারতে এখনো পর্যন্ত দুটি ভ্যাকসিন এর ব্যবহার করা হচ্ছে। একটি হল কোভিশিল্ড এবং আরেকটি হল কোভ্যাকসিন। ভারতের নিজেদের দেশীয় বৈজ্ঞানিকদের প্রচেষ্টায় তৈরি হয়েছে কোভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিন তৈরি হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন রকম ভুল-ভ্রান্তির সৃষ্টি করা হয়েছে এই ভ্যাকসিন এর সম্পর্কে।

এই ভ্যাকসিন নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির টুইট করে বলেন ” আজ আমি আমার প্রথম করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ নিলাম এমস থেকে। করোনাভাইরাসের এই বৈশ্বিক লড়াইয়ে আমাদের দেশের চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানীরা দ্রুত সময়ে যে কাজ করেছে তা উল্লেখযোগ্য। যারা ভ্যাকসিন গ্রহণযোগ্য তাদের সকলকে আমি আবেদন করছি একসাথে আসুন আমরা ভারতকে করোনা ভাইরাস মুক্ত ভারত গড়ে তুলি।”

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কোভ্যাকসিন নেওয়ার পর দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন “ভারতে যে দুটি ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হচ্ছে, দুইটি ভ্যাকসিন নিরাপদ এবং কার্যকরী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমি ধন্যবাদ জানাই। তিনি সবসময়ই বলেছেন অন্যকে কিছু করতে বলার আগে নিজেকে করে দেখাতে হয়। তিনি সেই নীতিতে চলেন। যখন 60 বছরের বেশি বয়সের মানুষদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে তখন প্রধানমন্ত্রী নিজেই কোভ্যাকসিন নিয়েছেন।”

আজ সোমবার থেকে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দফার টিকাকরণ। এই টিকাকরণে ৬০ বছর বয়সের বেশি মানুষদের টিকা দেওয়া হবে। তাছাড়া কো-মর্বিডিটি থাকলে ৪৫ বছরের বেশি বছরের বেশি মানুষ টিকা পাবেন। টিকা নেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করতে হবে। সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিনামূল্যে মিলবে এই ভ্যাকসিন এর টিকা এবং বেসরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা লাগবে এই ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য।