পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ বঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন ভোট সম্পন্ন হয়েছে গত ২৯ শে এপ্রিল। তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনী ভোটের প্রার্থী না হয়েও ভোট প্রচারে রাজ্যের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছেন মহাগুরু। কয়েকদিন আগেই গুজব রটেছিল অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
সেই ভুয়া খবর উড়িয়ে দিয়ে গত বৃহস্পতিবার অষ্টম দফার ভোটের দিন কাশিপুর-বেলগাছিয়া বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। বলতে গেলে তিনি সোনার বাংলা গড়ার উদ্দেশ্যে পশ্চিমবঙ্গে বড় যোদ্ধা হিসেবে কাজ করছেন ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে। পশ্চিমবঙ্গের প্রায় প্রতিটি বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচার করেছেন তিনি। তবে বিজেপি প্রার্থীদের জনসমর্থনে সভা করলেও আসানসোল উত্তরের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল এর সমর্থনে সভায় উপস্থিত হতে পারেননি মিঠুন চক্রবর্তী।
সেজন্যই তিনি এবার নেট মাধ্যমে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল এর হয়ে মন্তব্য করলেন। মহাগুরু জানিয়েছেন, “করোনার দাপট বাড়ায় অগ্নির সভাতে আসতে পারিনি আমি, তবে খুব শীঘ্রই আসব।” গতকাল শুক্রবার মহাগুরু আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল এর হয়ে ভূয়সী প্রশংসা করলেন। এছাড়াও আসানসোল উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে যে পদ্মফুল ফুটে বসে আছে তা একপ্রকার নিশ্চিত করলেন মিঠুন চক্রবর্তী।
ভোট প্রচার এর মধ্য দিয়ে বিজেপির তারকা প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল এর কথা কোনদিনই শোনা যায়নি মিঠুন চক্রবর্তীর মুখে। তবে এবার আসানসোল দক্ষিণের তারকা সেনাপতির বিষয়ে মুখ খুললেন মহাগুরু। তিনি বলেন, “মাঝে আমার খারাপ সময়ে অগ্নি নিয়মিত আমার স্ত্রী যোগীতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। নিয়মিত আমার খবর নিত। আমার খারাপ সময় এর বোন অগ্নি। যে মুম্বাইয়ের দাদার খবর নিতে পারেন সে নিশ্চয়ই নিজের নির্বাচিত এলাকার মানুষদের দেখভালও ভালোভাবে করতে পারবেন। আসানসোল দক্ষিণের গর্ব অগ্নিমিত্রা। ওর মতো শিক্ষিত, ভদ্র বিধায়ক চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।”
এছাড়াও অগ্নিমিত্রা প্রশংসার পাশাপাশি বাংলায় বিজেপি সরকার গঠন হলে বাংলার মানুষ কি কি সুবিধা পাবে সেদিকটাও তুলে ধরেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আশ্বাসেই বাংলাতে আমি এত বিশাল পরিমাণে সভা করেছি। বাংলায় বিজেপি সরকার গঠন হলে আগামী ৬ মাসের মধ্যে বদলে যাবে বাংলা। সমস্ত জেলার হাসপাতালগুলিতে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত হবে। বিদ্যুতের বিল কমবে। মহিলারা সরকারি বাসে যাতায়াত করতে পারবেন একদম বিনামূল্যে। এছাড়াও কৃষকরা পাবেন চার হাজার টাকা এবং রাজ্যের মেয়েরা প্রাপ্তবয়স্ক হলেই ২ লক্ষ টাকা করে তাদের একাউন্টে পেয়ে যাবে।”
এছাড়াও তিনি বাংলার ছাত্র ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার উদ্দেশ্য জানিয়েছেন, “বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ হবে বিজেপি সরকারের।”