পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ দেশের কর্মসংস্থান নিয়ে এক বড়োসড়ো ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানিয়েছেন, এবার দক্ষ কর্মী নিয়োগ হবে প্রতিটি বিভাগ এবং প্রতিটি মন্ত্রকে। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, আগামী দেড় বছরের মধ্যে ১০ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী পেতে চলেছে চাকরি।
আজ মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল ‘পিএমও ইন্ডিয়ার’ তরফ থেকে জানানো হয়েছে, “আগামী দেড় বছরের মধ্যে ১০ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হবে।” নরেন্দ্র মোদী আরও জানিয়েছেন, প্রতিটি মন্ত্রকেই এবার কর্মী নিয়োগ করা হবে। নিয়োগের কাজ চলবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকগুলির কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকগুলির কাজের ধরন বুঝে নিযুক্ত কর্মীদের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই প্রকল্পের নাম দিয়েছেন ‘মিশন মোড।’ প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, প্রতিটি মন্ত্রকেই হিউম্যান রিসোর্সের জন্য কর্মী প্রয়োজন।
আচমকা প্রধানমন্ত্রীর এহেন কর্মসংস্থান ঘোষণা, মোটেও সুবিধার নয় বলে দাবি করছে বিরোধী দলগুলি। অনেকেই মনে করছেন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন মোদীজী। ২৪ -এর ভোটব্যাঙ্কে বড়োসড়ো পরিবর্তন আনতে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চাকরির ঘোষণা করেছেন বলে দাবি করছেন বিরোধী দলনেতারা।
বিতর্কিত বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী মন্তব্য করেছেন ”বেকার যুব সম্প্রদায়ের যন্ত্রণা ও আবেগকে বোঝার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। কিন্তু নতুন রোজগারের সুযোগ তৈরি করার পাশাপাশি ১ কোটিরও বেশি ‘স্বীকৃত কিন্তু শূন্য’ পদকে ভরতি করার সার্থক প্রয়াস করতে হবে। প্রতি বছর ২ কোটি মানুষকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে গেলে আরও দ্রুতগতিতে কাজ করতে হবে।”
প্রতিক্রিয়া মিলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকেও, তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলছেন, “এসব প্রতিশ্রুতিতে মানুষ আর বিশ্বাস করবে না। ২০২৪ সালে এর উত্তর পাবেন প্রধানমন্ত্রী।”
কংগ্রেসের তরফ থেকেও ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন কংগ্রেসের মুখপাত্র রণবীর সিং সুরজেওয়ালা। তিনি টুইটে করে লিখেছেন, “ক্ষমতায় আসার আগে প্রতি বছরে ২ কোটি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। যার অর্থ ৮ বছরে ১৬ কোটি চাকরি। কবে হবে সেই চাকরি ? এখন আবার তাঁরা বলছেন, দেড় বছরের মধ্যে মাত্র ১০ লক্ষ চাকরি দেওয়া হবে। সরকারের ৬০ লক্ষ পদ খালি পড়ে রয়েছে। আর কতদিন চলবে এভাবে।”