
পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ- একটা সময় ছিল যখন পরীক্ষায় ফেল করা পরীক্ষার্থীরা লজ্জায় মুখ লুকাতো। আর এখন পরীক্ষায় ফেল করা পরীক্ষার্থীরা স্কুল ঘেরাও করে পাশ করানোর দাবিতে। গতবার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক টেস্ট পরীক্ষার্থীদেরও এই একই কীর্তি করতে দেখা গিয়েছিল। এবারও তার অন্যথা হলো না। এবার শ্রীরামপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষার অনুত্তীর্ণ ছাত্রীরা স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখালো।
তাদের দাবি তাদেরকে পাশ করিয়ে দিতে হবে। এই দাবিতে বুধবার তারা বিদ্যালয়ের সামনে প্রায় তিন ঘন্টা ধরে বিক্ষোভ চালায়। মোট ২৩ জন মাধ্যমিক এবং ৯ জন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে। কিন্তু ওই পড়ুয়া এবং তাদের অভিভাবকদের দাবি সকলকেই পাশ করিয়ে দিতে হবে। তবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় বিদ্যালয় এর গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা।
বিক্ষোভের জেরে বিদ্যালয়ের ভিতরেই আটকে পড়েন প্রধান শিক্ষিকা সহ বেশ কয়েকজন শিক্ষিকা। পরে পুলিশ এসে ওই শিক্ষিকাদের উদ্ধার করে। নিজেদের বিক্ষোভের প্রসঙ্গে ওই বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রী পল্লবী বৈরাগী বলেন, “সব স্কুলের পাশ করানো হলেও আমাদের এখানে হয়নি । আমাদের বলা হয়, এমন টিসি দেব অন্য কোনও স্কুলে ভর্তিও নেবে না। আমাদের দাবি আমাদের পাশ করাতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় আমরা ভালোভাবে পাশ করব।”
এই বিষয়ে এক পড়ুয়ার অভিভাবক অঞ্জু সাউ বলেন, “টেস্ট পরীক্ষা স্কুলের হাতে, বোর্ডের হাতে থাকে না । স্কুল কর্তৃপক্ষ যদি ছাত্রীদের পাশ করিরে দেয় তাহলে ভালো হয়। তা না হলে বছর নষ্ট।” যদিও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ডক্টর আইভি সরকারের বক্তব্য দশম শ্রেণীর টেস্ট পরীক্ষার কয়েকজন পরীক্ষার্থী খুবই খারাপ রেজাল্ট করেছে। যে সমস্ত পরীক্ষার্থীরা অকৃতকার্য হয়েছে তাদের মধ্যে কেউ পেয়েছে ৭, আবার কেউ পেয়েছে ৩।
মোট ২৩ জন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এবং ৯ জন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে। এই সমস্ত ছাত্রীদের টেস্টে ফেল করানোর আগে বারবার মিটিং করা হয়েছে। দরকার হলে আমরা ছাত্রীদের খাতা দেখাতে রাজি আছি। যারা নিজেদের পরীক্ষার খাতা দেখতে চায় তারা যেন একটি লিখিত আকারের দরখাস্ত করে।