পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ ইন্ডিয়ান আইডল নামক গানের প্রতিযোগিতায় সিজেন ১৩-এর ফার্স রানার আপ হয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ উজ্জ্বল করল বনগাঁর দেবস্মিতা রায়। গত রবিবার এই গানের প্রতিযোগিতার ফাইনাল ছিল। গানের মঞ্চে চূড়ান্ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর প্রথম হয়েছেন ঋষি সিং। এতদূর অবধি পথ অতিক্রম করে আসার পর প্রথম হওয়ার থেকে সামান্য চুক হয়ে যাওয়াতে মোটেও দুঃখিত নন দেবস্মিতা। বরং এত বড় একটি প্রতিযোগিতায় ফার্স্ট রানার আপ হতে পেরে গর্বিত তিনি।
জানা গিয়েছে, বরাবরই শান্ত স্বভাবের ছিলেন দেবস্মিতা। মাত্র ২২ বছর বয়সে এত বড় একটি রিয়ালিটি গানের শো-তে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করলেন বনগাঁর মেয়েটি। ছোট থেকেই পড়াশোনা এবং গান-বাজনা নিয়ে জগৎ তার। তাই অন্য কিছুতে মন দেওয়ার বিশেষ ইচ্ছে হয়নি কোনদিনই। তার গানের প্রথম হাতে-খড়ি হয় বাবা দেবপ্রসাদ রায়ের কাছ থেকে। এরপরেই আস্তে আস্তে গানের জগতে পথ চলা তার। জানা গিয়েছে, বনগাঁর কুমুদিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এর ছাত্রী ছিলেন তিনি।
একটি বিশিষ্ট সংবাদ মাধ্যম দেবস্মিতার কাছে তার জার্নির কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, এই জার্নি থেকে তিনি অনেক কিছু শিখেছেন, অনেক কিছু পেয়েছেন। ইন্ডিয়ান আইডলে আসার জন্য তাকে মা-বাবাসহ স্টেশনে রাত কাটাতেও হয়েছে। ইন্ডিয়ান আইডলে অডিশন দিতে মুম্বাই যাওয়ার জন্য যখন দেবস্মিতা হাওড়ায় আসে, তখন শোনা যায়, মুম্বাইগামী ট্রেনটি ক্যান্সেল হয়ে গিয়েছে। সেই রাতটা দেবস্মিতাকে মা-বাবা সহ হাওড়া স্টেশনে কাটাতে হয়। পরের দিন ভোরবেলায় মুম্বাইয়ের ট্রেনে চেপে নতুন স্বপ্ন নিয়ে বলিউড সিটিতে পা রাখেন তিনি।
দেবস্মিতা ইন্ডিয়ান আইডল ১৩-এ প্রথম স্থান অর্জন করতে না পারলেও একটু অখুশি অথবা দুঃখী নন তিনি। বরঞ্চ তিনি খুবই আনন্দিত। এত বড় একটি প্ল্যাটফর্মে নিজের ট্যালেন্ট এবং নিজের গানকে সকলের সামনে তুলে ধরতে পেরে যথেষ্ট গর্বিত তিনি। তার গলায় পুরনো দিনের গান এবং ক্লাসিক্যাল সঙ্গীত শুনে বারংবার প্রশংসায় মুখর হয়েছিলেন বিচারকরা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে বেশ কয়েকটি গানের অফার পেয়েছেন বনগাঁর দেবস্মিতা।