পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রকাশ্যে পোড়ানো হলো পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরান। তাই নিয়ে বিশ্বজুড়ে উঠেছে নিন্দার ঝড়। সুইডেনের ডানপন্থী রাজনীতিবিদ রাসমুস পালুদান ন্যাটোতে সুইডেনের সদস্যপদ বহাল রাখার প্রতিবাদে, স্টকহোমে তুর্কি দূতাবাসের সামনে প্রতিবাদ জানান। সেখানে পুলিশের সামনেই এই ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তুরস্ক, পাকিস্তানসহ মুসলিম দেশগুলি।
এদিকে সুইডেনের এই ঘটনার আঁচ গিয়ে পড়েছে তুরস্কে। সেখানে অবস্থিত সুইডেনের দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তুরস্কের মানুষজন। আগুন জ্বালানো হয় রাসমুস পালুদানের ছবিতে। ওই ডানপন্থী নেতার কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে সুইস দূতাবাসে একটি স্মারকলিপিও জমা দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
কোরান পোড়ানো নিয়ে সুইডেনের উপর ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল থেকে চাপ এসেছে। চাপের মুখে সুইস সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতি জানানো হয়েছে, রাসমুস পালুদানের মনোভাবকে সুইডেন সরকার সমর্থন করে না। ঘটনার নিন্দা করেছেন সুইডিস পররাষ্ট্রমন্ত্রী টোবিয়াস বিলস্ট্রম।
কোরান পোড়ানোর ঘটনায় তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রক থেকেও তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থের উপর এইরূপ হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তারা এক বিবৃতি জারি করেছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডকে তুরস্ক প্রশ্রয় দেবে না এবং সেই সাথে অভিযুক্ত রাসমুস পালুদানের কড়া শাস্তির দাবিও তুলেছে তুরস্ক পররাষ্ট্রমন্ত্রক।
কোরান পোড়ানো ঘটনায় তুরস্ক ছাড়াও প্রতিবাদ জানিয়েছে সৌদি আরব, জর্ডন, পাকিস্তান এবং কুয়েত। কোরান পোড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়েছে প্যালেস্তাইনের গাজাতেও। তবে রাসমুস এই প্রথমবারই যে কোরআন পোড়ালেন এমন নয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার তার পক্ষ থেকে এই ধরনের কর্মকাণ্ডের নজির রয়েছে। মূলত তিনি ছিলেন ডেনমার্কের নাগরিক।
ডেনমার্কের একটি কট্টর ডানপন্থী দলের নেতা ছিলেন। গত বছরের এপ্রিল মাসে তাদের দলের পক্ষ থেকে একটি বিক্ষোভ সমাবেশেও কোরান পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল। সেই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন পালুদান। বিক্ষোভের জেরে সংঘর্ষ বেঁধেছিল পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে। উক্ত ঘটনায় আহত হয়েছিলেন ১৬ জন পুলিশ কর্মী। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও কোরান পোড়ানোর মতো নেক্কারজনক ঘটনা ঘটল সুইডেনে।