পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে তৃণমূলের উপরে উঠছে একাধিক অভিযোগ। তবে সেই অভিযোগ এড়াতে তৃণমূলের একাধিক নেতা মন্ত্রীরা ভোল বদলাচ্ছেন। বগটুই কান্ড মঙ্গলবার সকালে প্রকাশ্যে আসার পর তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছিলেন, রাজনৈতিক কোনো ষড়যন্ত্র নেই। শর্ট সার্কিট থেকে টিভি ফেটে আগুন ধরে যায় বাড়িতে। যার ফলে মৃত্যু হয় কয়েক জনের। তবে তদন্তের আগেই কিভাবে এতটা আত্মবিশ্বাসী হয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন ?
এই ঘটনার তদন্তের পর এক অভিযুক্তের নাম উঠে এসেছে। ঘটনার তদন্তে নেমে যে ব্যক্তির নামে অভিযোগ উঠেছে, তিনি তৃণমূলের রামপুরহাট এর ১ নম্বর ব্লকের সভাপতি আনারুল হোসেন। আনারুল হোসেনের নির্দেশেই আগুন লাগানো হয়েছিল এমনটাই উঠছে অভিযোগ। আগুনে পুড়ে যে সকল ব্যক্তিদের মৃত্যু হয়েছে তাদের পরিবারের মুখেও একই নাম।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যে সকল ব্যক্তিদের মৃত্যু ঘটেছে তাদের পরিবারের সদস্যরা সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আনারুল হোসেনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের তীর যখন আনারুলের দিকে ওঠে, তখন তাকে প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু আনারুল হোসেন জানিয়েছেন, যখন এই ঘটনাটি ঘটেছে তখন তিনি এলাকাতেই ছিলেন না।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আনারুল হোসেন জানিয়েছেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনার সময় আমি এলাকাতেই ছিলাম না। এছাড়াও তিনি জানান, ভাদু শেখ খুনের পর খবর পেয়ে আমি হাসপাতালে গিয়েছিলাম এবং সেখান থেকে আমি শান্তির বার্তাও দিয়েছি। কিন্তু ঐদিন রাতেই গ্রামে অশান্তির ছায়া নেমে আসে। কিন্তু এই ঘটনায় আমার নাম নিয়ে আমাকে জড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এমনটাই দাবি আনারুল হোসেনর। মৃতদের পরিবারের অভিযোগ ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনের নির্দেশেই গ্রামে আগুন লাগানো হয়েছিল।
তবে এই মন্তব্যের জবাবে আনারুল জানিয়েছেন, ভাদু শেখকে যারা খুন করেছে তারাই গ্রামে আগুন লাগিয়েছে। এই ঘটনাটি ঘটিয়ে তৃণমূলকে বদনাম করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ আনারুলের। এছাড়াও তিনি দাবি জানিয়েছেন, প্রয়োজনে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হোক, এলাকার কোথাও আমাকে দেখতে পাবেন না। এছাড়াও তিনি পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেন, এই ঘটনায় পুলিশের আরও তৎপর হওয়া উচিত।