
পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু করা হবে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কথামতোই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়েছে দুয়ারে রেশন প্রকল্প। তবে রাজ্য সরকার এর দ্বারা প্রচলিত ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের এই পাইলট প্রজেক্ট এর কাজ শুরু হতেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের বহু রেশন ডিলাররা।
মামলা দায়ের করে রেশন ডিলাররা দাবি, “রাজ্য সরকারের দুয়ারে রেশন প্রকল্প কেন্দ্রীয় রেশন বণ্টন আইনের পরিপন্থী। প্রকল্পটি একাধারে খরচ সাপেক্ষ। সেই সঙ্গে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য যে পরিমাণ অর্থ ও কর্মচারী প্রয়োজন, তাও অধিকাংশ রেশন ডিলারদের কাছে নেই।” এই প্রকল্পের জন্য যে বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন, তা রেশন ডিলাররা বহন করতে পারবেন না বলেও আদালতে জানিয়েছেন তারা। তবে আদালতের বিচারপতি অমৃতা সিনহা মামলার শুনানিতে জানিয়েছেন, “আইন অনুযায়ী রেশন প্রাপক দোকানে এসে রেশন গ্রহণ করবেন এবং এটাই নিয়ম।”

রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এই প্রকল্পে মামলা দায়ের হওয়ায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রেশন প্রাপকের সুবিধার্থে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত এর কোন বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। আপাতত সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত চলবে এই দুয়ারে রেশন এর পাইলট প্রোজেক্ট। তারপর জনসাধারণের কাছ থেকে কি পরিমান সাড়া মেলে, তা দেখার পর আলাদাভাবে রেশন আইন সংস্কার করা হবে বলে জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। আপাতত এই প্রকল্পকে পরীক্ষামূলক প্রকল্প হিসেবে ধরা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এমনটাই জানানোর ফলে আদালতের বিচারপতি অমৃতা সিং এই মামলা খারিজ করেছেন। আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই প্রকল্প এখন যেহেতু পরীক্ষামূলক একটি প্রকল্প, তাই এই মামলায় হস্তক্ষেপ করবে না হাইকোর্ট। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পরবর্তীতে যদি কোনো বিবৃতি জারি করা হয় এবং তারপর যদি মামলা দায়ের করা হয় তাহলে সেই মামলা খতিয়ে দেখা হবে বলে হাইকোর্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ে সন্তুষ্ট নন রেশন ডিলাররা। যার কারণেই বিচারপতি অমৃতা সিং এর বিরোধিতা করে ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা দায়ের করেছেন রেশন ডিলাররা। এই মামলাটি অবশ্য গ্রহণ করেছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে রেশন ডিলারের অতি দ্রুত মামলা শুনানির আরজি জানিয়েছিলেন, কিন্তু সেটাই কার্যকর হয়নি। ডিভিশন বেঞ্চের তরফ থেকে জানানো হয়েছে অন্যান্য একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় ব্যস্ত হাইকোর্ট। তাই এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হবে কয়েক দিন পর।