পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ গত পাঁচ বছরের মধ্যে রেকর্ড পারদ পতন দেখা গেল বাংলায়। নতুন বছর পড়ার পর থেকেই তাপমাত্রা ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছিল। গত দুই দিনে তাপমাত্রা নামতে নামতে আজ সকালে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে এসে পৌঁছে গিয়েছে। আজ কলকাতার তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ ডিগ্রি কম। যদিও দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সামান্য একটু বৃদ্ধি পেতে পারে। দেখে নিন কেমন থাকবে আজকের (৬ই জানুয়ারি ২০২৩) আবহাওয়া –
আজকের আবহাওয়া
সর্বোচ্চ তাপমাত্রাঃ ২১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস
সর্বনিম্ন তাপমাত্রাঃ ১০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস
জলীয়বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণঃ ৭৭ শতাংশ
জলীয়বাষ্পের সর্বনিম্ন পরিমাণঃ ৬৭ শতাংশ
বৃষ্টিপাতঃ সম্ভাবনা একদমই নেই
হওয়ার গতিবেগঃ ৩.৬ কিমি/ ঘন্টা
সূর্যোদয়ঃ সকাল ৬টা ১৮মি
সূর্যাস্তঃ সন্ধ্যা ৫টা ০৭মি
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া
গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে জাঁকিয়ে বসেছে শীত। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে কুয়াশার দাপট। আজ সকালে কুয়াশা এতটাই ঘন ছিল, যে সকালে রাস্তায় গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হয়েছে। উত্তরবঙ্গের কোথাও বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই। এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাঘুরি করবে। দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এ তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ০ ডিগ্রীর সেলসিয়াসের ঘর ছুঁয়েছে। তার মধ্যেই শীতপ্রেমী পর্যটকরা ছুটে চলেছেন পাহাড় এবং ডুয়ার্সে।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
দক্ষিণবঙ্গে মানুষজন প্রবল শীতের দাপটে কুপোকাত। কলকাতা শহরের বুকে ৫ বছর পর তাপমাত্রা ১০ ঘর ছুঁয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলির তাপমাত্রা আরো ২ থেকে ৩ ডিগ্রী নিচে থাকবে। সেই সাথে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া বা বীরভূমের মতো পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ৫ এর ঘরে নেমে এসেছে। আপাতত দক্ষিণবঙ্গে শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে। বৃষ্টির তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার প্রকোপ দেখা দেবে। তাপমাত্রা ১০ থেকে ২০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে।
আগামীকালের আবহাওয়া
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিন পারদ পতন অব্যাহত থাকবে। আগামী ২-১ দিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরো ২ থেকে ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস নামতে পারে। আপাতত কোথাও বৃষ্টির তেমন পূর্বাভাস নেই। তবে পুরো পশ্চিমবঙ্গ জুড়েই মাঝারি থেকে ভারী কুয়াশার সম্ভাবনা থাকায় সকালের দিকে সাবধানে গাড়ি চালাতে বলা হয়েছে গাড়ির চালকদের। সেই সাথে রাতে ব্যাপক শিশিরও পড়বে অধিকাংশ জায়গায়। কুয়াশার কারণে সকালবেলা আকাশ মেঘলা থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে আকাশ পরিস্কার হয়ে রৌদ্র উঠবে। দিনের বেলা হালকা হাওয়া চলার কারণে শীত বেশি অনুভূত হবে।