মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দুয়ারে রেশন, ছাত্র-ছাত্রীদের ক্রেডিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড,,mamata banerjee
ছবিঃ সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ ক্ষমতায় ফিরেই বড়সড় রদবদল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শীতলকুচি ঘটনার জেরে কোচবিহারের পুলিশ সুপারকে সাসপেন্ড করল রাজ্য সরকার।

বঙ্গে একুশের বিধানসভা নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই প্রশাসনে বড়সড় রদবদল করেছিল নির্বাচন কমিশন। উল্লেখ্য, তারমধ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে কোচবিহারের পুলিশ সুপার ছিলেন কে কান্নান। তবে নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠার কারণে কান্নানকে ওই স্থান থেকে সরিয়ে দেবাশীষ ধরকে দায়িত্বে বসান নির্বাচন কমিশন। তবে দেবাশীষ ধরকে কোচবিহারের পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার পর বিজেপির হয়ে কাজ করছিলেন বলে অভিযোগ অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।

রাজ্যে গত ১০ ই এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোট চলাকালীন শীতলকুচিতে রণক্ষেত্রে ময়দান সৃষ্টি হয়েছিল। শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার জন ভোটারের মৃত্যু হয়। ওই চারজন তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক ছিলেন বলে দাবি ছিল ঘাসফুল শিবিরের। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন পুলিশ সুপার দেবাশীষ ধর রিপোর্টে বলেছিলেন, প্রায় ৩০০ গ্রামবাসী কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদেরকে ঘিরে ফেলে ছিল। জাওয়ানদের অস্ত্র নিয়ে টানাটানি করতে শুরু করে তারা। তাই আত্মরক্ষার স্বার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জাহানারা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় ৪ গ্রামবাসীর।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, Mamta Banerjee, সাসপেন্ড করলেন কোচবিহারের পুলিশ সুপারকে, debasish dhar, দেবাশীষ ধর
ছবিঃ সংগৃহীত

তবে তৎকালীন পুলিশ সুপার দেবাশীষ ধরের সেই রিপোর্ট মানতে নারাজ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শীতলকুচি এই ঘটনার জেরে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে ৭২ ঘন্টা পর তৃণমূল সুপ্রিমো ছুটে গিয়েছিলেন কোচবিহারের শীতলকুচিতে। তিনি সেখানে গিয়ে আশ্বাস দিয়েছিলেন ক্ষমতায় ফিরে তিনি গুলি কাণ্ডের তদন্ত শুরু করবেন। তবে তিনি ক্ষমতায় ফিরে বুধবার সন্ধ্যায় তাৎপর্য পূর্ণভাবে কোচবিহারের পুলিশ সুপার দেবাশীষ ধরকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে সাসপেন্ড করলেন।

গতকাল বুধবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যভবনে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করেন। তারপর তিনি রাজ্যভবন ছেড়ে নবান্নের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। রাজ্য ভবনে গিয়ে রাজ্যের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মমতা এবং নির্বাচন কমিশনের সরিয়ে দেয়া পুলিশ ও প্রশাসনের অধিকারীদের ফের নিজ পদে ফিরিয়ে আনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কোচবিহার পুলিশ সুপার দেবাশীষ ধরকে সরিয়ে আগের পুলিশ সুপার কে কান্নানকে ফিরিয়ে আনা হয় এবং পুলিশ সুপারের দেবাশীষ ধরের বিরুদ্ধে সাসপেন্ডশন নোটিশ জারি করা হয়।