পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ করোনা সংক্রমণ-এর জেরে আশঙ্কাজনক অবস্থা রাজ্যের। প্রতিনিয়ত করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। সংক্রমণ এর জেরে দেশের বিভিন্ন রাজ্য ইতিমধ্যেই লকডাউন এর পথে হেঁটেছে। শেষমেষ পশ্চিমবঙ্গেও লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, আগামী ৩০ শে মে পর্যন্ত লকডাউন থাকবে। রাজ্যে যে লকডাউন জারি করা হয়েছে আজ তার তৃতীয় দিন। তৃতীয় দিনের মাথায় করোনা মোকাবিলায় নিয়ে ফের নতুন ঘোষণা রাজ্য সরকারের। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলগুলিতে সেফ হোম বানানো হবে।
অতিমারি করোনা যে হারে বেড়ে চলেছে তাতে করে হাসপাতালে বেড পাওয়া যাচ্ছে না। হাসপাতালের সামনে লাইন লেগে গিয়েছে। দুই সপ্তাহ আগেই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল সাড়ে ১৫ হাজার/প্রতিদিন। তবে এই মুহূর্তে তা বেড়ে দিন প্রতি ১৯ হাজার-এ গিয়ে দাঁড়িয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ১৯ হাজার ৩০০ জন মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘন্টায় সেই মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪৭।
স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, যে হারে সংক্রমণ বেড়ে চলেছে তাতে করে সেফ হোম বাড়ানো প্রয়োজন। স্টেডিয়াম ও বিভিন্ন হাসপাতালগুলিতে যে পরিমাণ সেফ হোম বানানো হয়েছিল সেগুলিতে ভীড় উপচে পড়েছে। তবে বিভিন্ন জেলার স্কুলগুলিতে যদি সেফ হোম বানানো হয় তাহলে অতিমারি করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় অনেকটাই সুবিধা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা।
স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গ্রাম অঞ্চলের মানুষরা করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়লে। তাদের ছোট ঘর হওয়ার কারণে সেফহোমে থাকার মত ঘর থাকে না। যার কারণে সবাইকে একসঙ্গে থাকতে হয় আর এমন পরিস্থিতিতে সকলেই করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েন। এছাড়াও করোনা আক্রান্ত হয়ে তারা যখন হাসপাতালে ভর্তি হন তখন পরিস্থিতি হাতের নাগালে থাকে না। তবে এমন পরিস্থিতিতে স্কুল গুলিকে সেফ হোম বানালে অনেক উপকৃত হবে সাধারন মানুষ।
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ইতিমধ্যে সেই চিঠি জেলাশাসক দের কাছে পাঠানো হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার স্কুল গুলিকে সেফহোম হিসেবে ব্যবহার করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর। যার কারণে স্কুল গুলিকে দ্রুত স্যানিটাইজার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের এই উদ্যোগে অনেক শিক্ষক খুশি হলেও, অনেক শিক্ষক আবার আর্জি জানিয়েছেন। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল গুলি সেফ হোম বানানোর পর যদি স্কুল খোলার প্রয়োজন হয়। তখন কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে ?