cannabis, nadia, গাঁজা, নদীয়া
সামনে শাড়ি, পেছনে গাঁজা! সুদূর আন্দামান থেকে দীর্ঘ অভিযানের সমাপ্তি নদীয়ায়

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ সামনে শাড়ি, কিন্তু পেছনে গাঁজা। অবাক লাগছে? হ্যাঁ, এমনই আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছে এবার বাংলায়। এক শাড়ি ব্যবসায়ী জনসমক্ষে শাড়ির ব্যবসা করলেও পেছনে চালাতেন বেআইনিভাবে গাঁজার ব্যবসা। আন্দামান থেকে সোজা পুলিশ প্রশাসন ছুটে এলো পশ্চিমবঙ্গের নদীয়ায়। অবশেষে নদীয়ায় শান্তিপুরে দীর্ঘ অভিযানের পর ধরা পরল এই গাঁজা ব্যবসায়ী।

গত বুধবার রাতে শান্তিপুরে বুড়ো শিবতলা লেনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সেখানচার একটি বেসরকারি লজ থেকেই হাতেনাতে ধরা পরে এই গাঁজা ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীটির নাম জগন্নাথ শীল। বৃহস্পতিবার তাকে সোজা পেশ করা হয় রানাঘাট মহাকুমার আদালতে। তবে সেখানে তাকে রাখা হয়নি। ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে তাকে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় আন্দামানে।

এই ঘটনাটির আঁচ পাওয়া গিয়েছিল এই বছরেরই ফেব্রুয়ারি মাসের ১৯ তারিখ নাগাদ। জগন্নাথ শীলের
ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের শাড়ির মধ্যে গাঁজা সাজিয়ে পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ে আন্দামান বিমানবন্দরে। পুলিশ উভয়কে আটক করে জেরা শুরু করেন। নানা জিজ্ঞাসাবাদের পর আসল সত্যটি উদঘাটন করা সম্ভব হয়। জানা যায় যে, এই ব্যবসার প্রধান হলেন তাদের বাবা জগন্নাথ শীল।

জগন্নাশীল তার ছেলে ও মেয়ের ধরা পরার কথাটি জানার পর থেকে নিজে গা ঢাকা দিয়ে ফেলেন। তাকে ধরার জন্যই সুদূর আন্দামান থেকে পুলিশ প্রশাসন নদিয়ায় এসে উপস্থিত হয়। তারপর অনেক পরিকল্পনা করে অবশেষে তাকে শান্তিপুর থেকে ধরা সম্ভব হয়।