পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ দেশজুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যেভাবে আছড়ে পড়েছে, তা ইতিমধেই ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে কয়েকটি রাজ্যে। করোনা সংক্রমনের দিক থেকে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রে।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে ১৫ দিনের জন্য করোনা কার্ফু ঘোষণা করেছেন অর্থাৎ গোটা রাজ্য জুড়ে ১ লা মে পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। রাত ৮ টা থেকে সকাল ৭ টা পর্যন্ত জরুরী ভিত্তিতে ছাড়া কেউ বাইরে বেরতে পারবেন না।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে বেরিয়ে গেছে। করোনা সংক্রমণে রাজ্যের পরিস্থিতি বেশ আশঙ্কাজনক। রাজ্যে অক্সিজেন সিলিন্ডারও পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই বলেও জানিয়েছেন উদ্ভব ঠাকরে। করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত মহারাষ্ট্র সরকারের।
করোনা সংক্রমণ যে হারে বেড়ে চলেছে, তাতে আবারো দেশজুড়ে লকডাউন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দেশজুড়ে আবারও দীর্ঘস্থায়ী লকডাউন হবে কি না প্রশ্ন করায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারাম জানিয়েছেন, “বড়োসড়ো লকডাউনের পথে আর হাঁটছে না কেন্দ্র সরকার। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে স্থানীয় স্তরে আইসোলেশন এর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। রাজ্যগুলির সঙ্গে পৃথকভাবে কথা বলছে কেন্দ্র সরকার।”
গত ২৪ ঘন্টায় মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫২,০০০ এর গণ্ডি ছাড়িয়েছে। কোভিডের ঔষধ ও অক্সিজেনের যোগান প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম বলে জানিয়েছেন মহারাষ্ট্র সরকার। প্রধানমন্ত্রীর কাছে জরুরী অবস্থাতে অক্সিজেন আনতে বিমান বাহিনীর সাহায্য চেয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে।
করোনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করল মহারাষ্ট্র সরকার। জরুরি ভিত্তিতে ছাড়া বাইরে বেরোনো যাবে না। জরুরী পরিষেবা ছাড়া সমস্ত কিছুই বন্ধ থাকবে রাজ্যে। এছাড়াও ই-কমার্স সাইটগুলি ও পেট্রোল পাম্প খোলা থাকবে। রাজ্যজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও ব্যাংকের কাজ জারি থাকবে এবং নির্মাণ শ্রমকর্মীদের কনস্ট্রাকশন সাইট এর পাশে থাকার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার।