পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ- এইবারের বিধানসভা ভোট অন্যান্যবারের থেকে একদমই আলাদা। পশ্চিমবঙ্গের নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। তৃণমূল, বিজেপি এবং সিপিআইএম এর ত্রিমুখী সমরে একেবারে রণক্ষেত্রের রূপ নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।
আজ রাজ্যে দ্বিতীয় দফার ভোট। আর নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের ৩৫৫ টি স্পর্শকাতর আসনে সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথেই সেই রূপতা বদলে গিয়ে একেবারে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় নন্দীগ্রাম। সিপিআইএম এর নন্দীগ্রামের প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের কনভয়ের ওপর যেমন হামলা হয় তেমনই বিভিন্ন স্থান থেকে বিক্ষিপ্ত ঝামেলার এবং অশান্তির খবর আসে।
পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে একমাত্র নন্দীগ্রামেই পৌঁছেছে ২২ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী। জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। এমন অভূতপূর্ব আয়োজন সত্ত্বেও কিভাবে নন্দীগ্রামে বিক্ষিপ্ত অশান্তি শুরু হয়েছে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
একদিকে যেমন নন্দীগ্রামে তৃণমূল কর্মীকে খুন করার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে তেমনই সিপিআইএম এর প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের গাড়ীতে হামলার অভিযোগের তীর ওঠে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। কার্যত নন্দীগ্রামকে সেনাবাহিনী দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে। তার মধ্যে কিভাবে এমন বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটছে তাই নিয়ে চিন্তায় নির্বাচন কমিশন।
১৪৪ ধারা, ওয়েবক্যাম, সেনাবাহিনী সত্ত্বেও নন্দীগ্রামে বাইক মিছিল, বোমাবাজি, খুনের মত ঘটনা ভাবাচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে। এই প্রসঙ্গে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের বিরুদ্ধে থাকা একদা তৃণমূলের বড় নেতা তথা বিজেপির সবচেয়ে হেভিওয়েট প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী বলেন যে, ” তৃণমূল হেরে যাবে বুঝে এইসব কথা বলছে। আসলে অরা ভয় পেয়েছে। বেগম হারছেন, বিকাশ জিতছে।”
আবারও নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গে নন্দীগ্রামের সিপিআইএম এর প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন যে,”সার্বিকভাবে নন্দীগ্রামের সব বুথে সিপিআইএম এজেন্ট বসতে পেরেছে। এই অর্থে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। তবে সাধারণ মানুষ যাতে নির্ভয় ভোট দিতে পারে তার জন্য নিরাপত্তা বাড়ানো প্রয়োজন।”