একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছেন বর্তমান শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরী। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রচারে ঝড় তুলে দিয়েছিলেন তিনি। কাজের প্রতি আগ্রহতা এবং তার সরল মনের কারণে শালতোড়া বিধানসভা কেন্দ্রে তাবড় তাবড় নেতাদেরকে হারিয়ে বিজেপি তরফ থেকে বিধায়ক হয়েছেন তিনি।
নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিধায়ক হওয়ার পর তার বহু চর্চা হয়েছিল গোটা রাজ্য জুড়ে। গোটা বাংলা দেখেছিল তার দারিদ্রতার ছবি। একপ্রকার তিনি যেন বাঙালির মনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে স্থানে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তবে তার নামে যেমন ব্যাপক প্রশংসা শোনা গিয়েছিল, তবে বর্তমানে তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অভিযোগ। গত কয়েকদিন আগেই তার দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে উঠে আসে নানান তথ্য। বর্তমানে সেই ছবি দেখছে বাংলার মানুষ।
তার দ্বিতীয় বিবাহের খবর প্রকাশে আসতেই শালতোড়ার বিজেপি বিধায়কের জীবনে নেমে এলো কাল ছায়া।ইতিমধ্যেই শোনা যাচ্ছে বর্তমানে দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে চন্দনা বাউরীর। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর বহু বিজেপির নেতা ও কর্মী সমর্থকরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন চার বিধায়কও। তবে এখন চন্দনা তৃণমূলে যোগদান করছে কিনা তা নিয়ে জোর জল্পনা রাজ্য রাজনীতিতে।
যদিও তিনি কয়েক দিন আগে জানিয়েছিলেন, দারিদ্র হতে পারেন তিনি কিন্তু তার কোনো লোভ নেই। যত বড়ই ঝড় আসুক না কেন বিজেপির মাটিকে আঁকড়ে ধরে রাখবেন তিনি। তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, নিজস্ব ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর তৃণমূলে যেতে পারেন চন্দনা বাউরী। শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি। তার নিজস্ব জীবন নিয়ে টানা পড়ার কারণ এই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করবেন বলে জানা যাচ্ছে।
তবে এ বিষয়ে তৃণমূলের চেয়ারম্যান শ্যামল সাঁতরা জানিয়েছেন, “কোন মতেই চন্দনা বাউরীকে তৃণমূলে নেওয়া হবে না। তবে জানিনা ঠিক কিসের ভিত্তিতে এমন জল্পনা তৈরি হয়েছে।” তৃণমূল নেতৃত্বের এমন দাবির পর শুধু দেখার বিষয় চন্দনা বাউরীর পরবর্তী পদক্ষেপ।