পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ জল্পনা কাটিয়ে ফের তৃণমূলেই ফিরলেন সৌমেন মিত্রের স্ত্রী শিখা মিত্র। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই চলছে দলবদল এর খেলা। কেউ গেরুয়া শিবিরের নাম লেখায় তো আবার কেউ সবুজ শিবিরে নাম লেখায়। তবে এখনো তা অব্যাহত রয়েছে।
সামান্য মনোমালিন্য হয়েছিল, কিন্তু কোন দিনই তৃণমূল ছাড়েননি তিনি। ৬ বছর পর তৃণমূলে যোগদান করে এমনটাই দাবি করলেন সৌমেন পত্নী শিখা মিত্র। আজ রবিবার দক্ষিণ কলকাতার সংসদ মালা রায় ও চৌরঙ্গীর বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় এর হাত থেকে তৃণমূলের দলীয় পতাকা হাতে তুলে নেন শিখা দেবী। তবে দলে প্রবেশ করেই বড় পদ পেতে চলেছেন শিখা দেবী।
তৃণমূল দলের সঙ্গে প্রায় ছয় বছর যোগাযোগ ছিল না শিখা দেবীর। তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় লাভ করার পর তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিখা দেবীকে ফোন করেছিলেন বলে জানিয়েছেন। সৌমেন পত্নী শিখা মিত্র জানান, তৃণমূল সুপ্রিমো তাকে দলের “বঙ্গজননী বাহিনী”-র পদে নিযুক্ত করবেন এমন উল্লেখ করে তাকে দলে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানান।
তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতার ডাকে সাড়া দিলেন শিখা মিত্র। অবশ্য সাড়া দিতে শিখা দেবী বেশ খানিকটা সময় নিয়ে নিয়েছেন। এদিন তিনি জাতীয় পতাকা হাতে তুলে নিয়ে বলেন, “মমতা নিজে ফোন করেছিল আমাকে। বলেছে দলে যোগদানের কথা। ওর খুব ইচ্ছে ছিল, আমি আবার দলে সক্রিয় হই। আমারও খুব আনন্দ হয়েছিল সেদিন। ওর ইচ্ছা পূরণ করতে আজ দলে আবার এলাম। আমি তো কখনও তৃণমূল ছাড়িইনি। দলে কাজ করতে করতে মতানৈক্য কিছু হতেই পারে। তার জন্য দল ছেড়ে দেওয়ার মানুষ আমি নই।”
রবিবার শিখা দেবীর সঙ্গে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগদান করেছেন আরও দুইজন ব্যক্তি। একজন হলেন শুভ্রা ঘোষ ও আর একজন অমিত ঘোষ। তৃণমূলে যোগদান কারী সকল ব্যক্তির মুখে একই কথা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তারা নতুন দেশ গড়তে চায়। তবে মালা রায় ও নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি জানিয়েছেন, শিখা দেবীর যোগদানের ফলে তৃণমূল কংগ্রেস আরও শক্তিশালী হবে।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শিখা দেবী বিজেপিতে যোগদান করছেন এমনটাই জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তবে সমস্ত জল্পনা দূর করে শেষ-মেষ দিদির ডাকে সাড়া দিলেন সৌমেন পত্নী। তবে তৃণমূলে যোগদান করে বিজেপি বিরোধীতা করতে ছাড়েননি শিখা দেবী। এদিন তিনি বলেন, “একটা দল সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট নিয়ে কেন্দ্রে সরকার গড়েছে। কিন্তু এই সরকার যদি থাকে, তাহলে দেশের পক্ষে খুব খারাপ, অন্ধকার দিন নেমে আসবে শিগগিরই।”