পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ দলবদলু নেতাদের উদ্দেশ্যে এবার সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। গত শুক্রবার কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন। তবে তৃণমূলে যোগ দান করলেও তিনি এখনো বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেননি।
এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই মাঠে নেমেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দল নেতা স্বয়ং শুভেন্দু অধিকারী। দলছুট নেতা মুকুল রায়কে বিধায়ক পদ থেকে খারিজ করতে অন্যতম ব্যবস্থা নিতে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। জানা গিয়েছে আজ বিকেল চারটে নাগাদ বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার এর কাছে সাক্ষাৎ করবেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুনঃ সময়সীমা সমাপ্তির আগেই লোকাল ট্রেন চালু করতে নবান্নে চিঠি পাঠাল রেল কর্তৃপক্ষ
দলত্যাগ বিরোধী আইন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে রাজভবনে। আজ তিনি রাজ্যপালের দারস্ত হচ্ছেন, সে বিষয়টি আগেই টুইট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে ওয়াকিবহাল মহলের এক অংশ জানিয়েছে, রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়ে কোন রকম লাভ হবে না।
দলত্যাগ বিরোধী আইন নিয়ে কিছুই করার নেই রাজ্যপালের। বিধানসভার স্পিকার একমাত্র দলত্যাগ বিরোধী আইন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। লোকসভা ও রাজ্যসভার স্পিকার এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারেন কিন্তু রাজ্যপাল অথবা রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।
আরও পড়ুনঃ “দলের সঙ্গে যদি কেউ সুর মেলাতে না পারে, তাহলে সেটা ঐ ব্যক্তির সমস্যা”- দিলীপ ঘোষ
তবে এ বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, “আমি এ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। স্পিকার যতই নিজের দলের লোক হোক না কেন, কিভাবে দলত্যাগ আইনে বিধায়ক পদ খারিজ করতে হয়। তা আমার ভালোভাবে জানা আছে।” আর সেই কথা মতোই তিনি আজ বিকেল চারটে নাগাদ রাজভবনে উপস্থিত হবেন।
এছাড়াও জানা গিয়েছে, দলত্যাগী আইন নিয়ে রাজ্যপাল যদি কোন প্রকার পদক্ষেপ না নিতে পারে তাহলে আইনি ব্যবস্থা খোলা আছে। দলত্যাগ বিরোধী আইনে কোনো রকম ব্যবস্থা না করতে পারলে আদালতের দ্বারস্থ হবেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলের একাংশ জানিয়েছে, এমনিতেই মুকুল রায় বিধায়ক পদ ত্যাগ করবেন।