পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ চেষ্টা করলে সবই সম্ভব। আর চেষ্টার কোন বয়স হয় না। আপনি যখন মানসিকভাবে কোন কাজ করার জন্য প্রস্তুত হন তখন বয়সটা কেবল সংখ্যামাত্র। আর এইভাবেই বয়সকে হারিয়ে ১০ কিলোমিটার দৌড়ে স্বর্ণপদক জিতেছেন শিলিগুড়ির ৫৯ বছরের দীপ্তি পাল।
বয়সের সাথে সাথে মানুষের দৈহিক সক্ষমতা কমতে থাকে। সেই সাথে কমতে থাকে মনের জোর। তার কারণে মানুষের বয়স হয়ে গেলে মানুষ নিজেকে দুর্বল ভাবতে শুরু করে। তবে বয়স যে কোন ফ্যাক্টরই নয় সেটা কিছু কিছু মানুষ বারে বারে প্রমাণ করেছেন।
দীপ্তি পাল বলেন, অ্যাথলেটিক্সে ছোটবেলা থেকেই কৌতূহল ছিল। সেই ইচ্ছাটা এখনো মরে যায়নি। সংসারের দায়িত্ব পালন করতে খেলার উপর মনোযোগ উঠে গিয়েছিল। কিন্তু এখন সেই উদ্যম ফিরে পেয়েছি। সন্তানদের উৎসাহের ফলেই আমি এই জায়গায় পৌঁছতে পেরেছি। ওদের ছাড়ার এটা সম্ভব ছিল না।
মহারাষ্ট্রের নাসিকে জাতীয় ভেটেরান্স অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তিনি সেখানেই অংশগ্রহণ করেছিলেন। দেশের মানুষকে ৫৯ বছর বয়সে জাতীয় স্তরের অ্যাথলেটিক্সে চারটি স্বর্ণপদক এবং একটি রৌপ্য পদক জিতে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন দীপ্তি পাল।
যে বয়সে মানুষ খেলা দেখা ছেড়ে দেয়, অবসর নিয়ে ঘরে বসে বাকি জীবন কাটানোর পরিকল্পনা করে, দীপ্তি পাল সেই বয়সে ১০ কিলোমিটার দৌড়ে স্বর্ণপদক জিতে দেখালেন। এছাড়াও তিনি পাঁচ কিলোমিটার রেস, তিন কিলোমিটার হাটা ও পাঁচ কিলোমিটার হাটা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন।
তিনি জানান, জীবনে সুস্থভাবে বাঁচতে হলে মন খুলে বাঁচতে হবে। মনের যা ইচ্ছে তাই করতে হবে। তাহলেই বয়সের সব বাধাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। তবেই জীবনের প্রত্যেক মুহূর্তকে উপভোগ করা যাবে । জন্ম যখন হয়েছে মৃত্যু তখন নিশ্চিত, অমর নই আমরা। কিন্তু তার মধ্যেই জীবনকে রাঙানোর পথ খুঁজে বের করতে হবে।