কোলকাতা হাইকোর্ট, ভোট পরবর্তী হিংসা, পশ্চিমবঙ্গ,
চিত্র- সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ্যে আসার পরেই রাজনৈতিক হিংসা ব্যাপক আকার ধারণ করে। এমনকি ভোট পরবর্তী হিংসায় মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে যার কারনে অধিক মানুষ ঘর ছাড়া হয়েছেন।

গেরুয়া শিবিরের দাবি, একুশে নির্বাচন ফলাফল প্রকাশ্যে আসার পর রাজ্যের শাসক দল বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ওপর হিংসা ও আক্রমণ চালাতে থাকে। যার কারণে প্রাণ ভয়ে নিজের বাসভবন ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন তারা। ভোট-পরবর্তী হিংসার কারনে বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেবাল রাজনৈতিক হিংসা বন্ধ করতে পুলিশকে তৎপর হওয়ার নির্দেশ দিলেও ঘরছাড়া মানুষদেরকে ঘরে ফেরানোর জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন আদালতে।

আরও পড়ুনঃ আজ থেকে আগামী ২-৩ দিন বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস জানালো আবহাওয়া দপ্তর

তবে ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘরছাড়া হয়েছেন যারা তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা রাজ্য সরকারকেই করতে হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেবালের দায়ের করা মামলার শুনানিতে এমনটাই জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।

কোলকাতা হাইকোর্ট, ভোট পরবর্তী হিংসা, পশ্চিমবঙ্গ,
চিত্র- সংগৃহীত

তবে সেই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির রাজেশ বিন্দালের ডিভিশন বেঞ্চে জানানো হয়েছে, “রাজ্যের রাজনৈতিক হিংসায় ঘরছাড়াদের পুনর্বাসন দেওয়ার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকলে তাকে পুনর্বাসন দিতে হবে রাজ্য সরকারকে।”

তবে এবার কিছু প্রশ্ন করে বসলো কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন প্রশ্ন করেন, “রাজনৈতিক হিংসার কারণে ঘরছাড়া মানুষদের কিভাবে বোঝা যাবে এবং কিভাবে বুঝব তারা বাড়ি ফিরতে চান?”

আরও পড়ুনঃ শুক্রবার থেকেই শুরু রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প

আদালতের তরফ থেকে এটাও জানানো হয়েছে যে, রাজ্যের রাজনৈতিক হিংসার ঘটনায় ঘরছাড়া মানুষদেরকে সরাসরি নথিভুক্ত করার জন্য রাজ্য সরকার কোন প্রকার ব্যবস্থা করেছে কি? এছাড়াও নথিভূক্ত করার জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কোনো ইমেইল আইডি প্রকাশ করা হয়েছে কি না সে বিষয়েও প্রশ্ন করা হয়। আদালতের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যদি রাজ্য সরকার ইমেইল আইডি প্রকাশ করে থাকে তাহলে সেখানে কত অভিযোগ জমা পড়েছে ? সেগুলি আগামী শুনানিতে রাজ্য সরকারকে জানাতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত।