পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর জেরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক হারে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সম্পূর্ণ দীঘা তলিয়ে গিয়েছে জলের তলায়। পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তার তাণ্ডব দেখিয়েছে ওড়িশা সহ পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু এলাকায়।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর জেরে শত শত মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে এ রাজ্যের। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস সম্পূর্ণ পশ্চিম বাংলার দিকে না আসলেও, তার প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু এলাকায় ব্যাপকহারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সাধারন মানুষ। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের ত্রান দেওয়া হবে। তবে ত্রাণ দেওয়ার ক্ষেত্রেও বেঁধে দেওয়া হয়েছে, কোন খাতে কত টাকা আর্থিক সাহায্য করবে রাজ্য সরকার।
তবে গতবছর ঠিক এমন সময় শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফান তান্ডব দেখিয়েছিল গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। গোটা দক্ষিণবঙ্গ সম্পূর্ণ তছনছ করে দিয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্তরা অনেকেই ত্রাণ পাননি। বিভিন্ন স্থান থেকেই ঘূর্ণিঝড় আমফানের ত্রাণ চুরির অভিযোগ উঠেছিল। তবে এবার ত্রাণ দুর্নীতি রুখতে রাজ্য সরকারের নয়া উদ্যোগ।
রাজ্যের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষরা যাতে সঠিকভাবে ত্রাণ পায়, সে পথেই হাঁটছে রাজ্য সরকার। তবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। যেখানে উল্লেখ রয়েছে, কোন খাতে কত টাকা দেওয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেখে ত্রাণ দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে এবার যাতে ত্রাণ দুর্নীতির না হয় সে দিকে লক্ষ্য রেখেই ‘দুয়ারে ত্রাণ’ কর্মসূচি শুরু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ত্রাণের জন্য।
আরও পড়ুনঃ- ওয়েটিং রুম রাতারাতি হয়ে গেল মেডিসিন সেন্টার, করোনা মোকাবিলায় অভিনব উদ্যোগ রেলের
দুয়ারে ত্রাণ কর্মসূচির বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আগামী ২’রা জুন থেকে ১৮ ই জুন পর্যন্ত রাজ্যে ‘দুয়ারে ত্রাণ’ এর উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। এই দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তরা আবেদন করতে পারবেন। তবে অন্য কারো মাধ্যমে নয়, ক্ষতিগ্রস্তদের নিজেদেরকে সরাসরি আবেদন করতে হবে” বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরপর তিনি আরও জানান, ১৯ শে জুন থেকে ৩০ শে জুন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তদের বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা করা হবে। এরপর ১ লা জুলাই থেকে ২৮ শে জুলাই এর মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রাপ্য ত্রাণ তাদের ব্যাংকে সরাসরি পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।