পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ গোটা দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। করোনার এই দ্বিতীয় স্ট্রেনের প্রভাবে মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েই চলেছে। এছাড়াও সংক্রমণ ছড়াচ্ছে অত্যন্ত দ্রুত।
করোনার সংক্রমণ রুখে দাঁড়াতে নতুন নির্দেশিকা জারি করল কর্ণাটক সরকার। গত সোমবার কর্ণাটক সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্যে কোন প্রকার মিছিল বা জনসভা করা চলবে না। এমনকি কোথাও বিক্ষোভ করে জমায়েত করাও চলবে না।
আগামী ১৫ দিনের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা জারি করল কর্ণাটক সরকার। কর্ণাটক সরকার জানিয়েছে, রাজ্যে আর কোন লকডাউন করা হবে না। কিন্তু করোনার সংক্রমণ রুখতে নতুন কড়া আইন আনা হয়েছে। এছাড়াও কর্ণাটক সরকার জানিয়েছেন, সর্বদায় নাগরিকদের কাছে আবেদন করা হচ্ছে মাস্ক ব্যবহার করুন এবং করোনা প্রটোকল মেনে পরস্পর দূরত্ব বজায় রাখুন। তবে এবার প্রকাশ্যে কোনো ব্যক্তি মাস্ক না ব্যবহার করলে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে কর্ণাটক সরকার।
করোনার এই দ্বিতীয় স্ট্রেন খুবই দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খারাপ পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রে। একদিনে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছে এই রাজ্যে। এইজন্যই কড়া আইন নিয়ে এলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে।
মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে জানিয়েছেন, গোটা রাজ্য জুড়ে লকডাউন জারি হলে অর্থনীতিতে প্রভাব পড়তে পারে। লকডাউন ছাড়ায় একটি পরিকল্পনা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে প্রশাসনিক অধিকারীদের সঙ্গেও এ ব্যাপারে বৈঠক করেছেন ইতিমধ্যেই।
কর্ণাটক সরকার জানিয়েছে, কোন স্থানে ক্ষোভ দেখিয়ে জমায়েত করা যাবে না। বড়োসড়ো কোন অনুষ্ঠান বা পার্টি করা যাবে না। প্রকাশ্যে মাক্স ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। এছাড়াও জানিয়েছে, রাজ্যে সমস্ত স্কুল ও কলেজ খোলা থাকবে। হোলি খেলাতে মানুষের জামায়েত বেশি হওয়ার কারণে করোনা সংক্রমণ বেশি ছড়িয়ে পড়বে সেদিকে নজর রেখেই। এমন নির্দেশিকা জারি করল কর্ণাটক সরকার।