তাউটে, আবহাওয়া, আজকের আবহাওয়া, ঘূর্ণিঝড়,
ছবিঃ সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ ফের এক বছর পর ধেয়ে আসছে আমফানের মত শক্তিশালী সুপার সাইক্লোন। গত বছর মে মাসে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফান গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে তান্ডব দেখিয়েছিল। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, একুশের প্রথম ঘূর্ণিঝড় সাংঘাতিক রূপ নিতে পারে। যার নামকরণ করা হয়েছে ‘তাউটে।”

আবহাওয়া (Weather) দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের মে মাসে শক্তিশালী সুপার সাইক্লোন ফণীর জেরে বিপর্যস্ত হয়েছিল ওড়িশা উপকূল। তার ঠিক এক বছর পরে আমফানের তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গিয়েছিল গোটা দক্ষিণবঙ্গ। এবার আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস, আমফানের থেকেও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে ওড়িশা উপকূলে। তবে ওড়িশার দিকে অভিমুখ থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলেও এই শক্তিশালী সুপার সাইক্লোন ঝড়-এব প্রভাব পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী ১৩ ই মে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ওড়িশা উপকূলে আঘাত হানতে পারে। জিএফএস-এর পূর্বাভাস, আগামী ১০ ই মে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত, ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। যা পরবর্তী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আরও শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসতে পারে ওড়িশা উপকূলের দিকে।

সাধারণত দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করার আগে বঙ্গোপসাগরে বেশ কয়েকটি ঘূর্ণবাত সৃষ্টি হয়। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণবাত ও ঘূর্ণিঝড় গুলি বর্ষাকে উপকূলের দিকে ঠেলে দেয়। তবে ভুবনেশ্বর আবহাওয়া (Weather) কেন্দ্রের প্রাক্তন পরিচালক এবং এসওএ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও জলবায়ু কেন্দ্রের পরিচালক শরৎচন্দ্র সাহু-এর মতে, আগামী ১০ ই মে বা ১১ ই মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণবাত ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে বলে জানানো হলেও, এখন সেখানে কোনো কিছুই নেই। বর্তমানে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের উপরে কোনও প্রকার ঝঞ্জা বা ঘূর্ণবাত সৃষ্টি হয়নি। তবে ১০ ই মে ঘূর্ণবাত, ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতায় পৌঁছাবে কিনা তা নিয়ে আশঙ্কা রয়ে যায়।

এনডব্লিউএস-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ১৩ ই মে আছড়ে পড়বে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘তাউটে’। এই শক্তিশালী সুপার সাইক্লোন ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে মায়ানমার।