Sudheer Varma Kalidindi, telugu film industry, tollywood, suicide, সুধীর ভার্মা কালিদিন্দি, তেলেগু চলচ্চিত্র সংস্থা, টলিউড, আত্মহত্যা
আত্মহত্যার প্রচেষ্টার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন সুধীর ভার্মা কালিদিন্দি

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ গত ১০ই জানুয়ারি তরুণ টলিউড অভিনেতা সুধীর ভার্মা কালিদিন্দি বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। সোমবার ভোরে বিশাখাপত্তনমের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যু কালে তার বয়স হয়েছিল ৩৪ বছর।

পুলিশ জানিয়েছে যে, তিনি বেশ কিছুদিন ধরে বিষণ্নতায় ভুগছিলেন। তিনি ওয়ারাঙ্গালে কীটনাশক (আগাছা ঘাতক) খেয়েছিলেন এবং যার ফলে হায়দ্রাবাদের দুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিছুটা শারীরিক পুনরুদ্ধারের পরে, তাকে তার নিজ শহর ভাইজাগে স্থানান্তরিত করা হয় এবং ২১শে জানুয়ারি একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি সোমবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। হাসপাতালের তরফ থেকে মৃত্যুর রিপোর্টে কার্ডিওপালমোনারি অ্যারেস্ট এবং প্যারাকোয়াট বিষক্রিয়ার উল্লেখ করা হয়েছে।

তেলেগু ছবি ‘সেকেন্ড হ্যান্ড’ এবং ‘কুন্দনাপু বোম্বা’ ছাড়াও ‘শুটআউট অ্যাট অ্যালেরুর’-এর মতো ওয়েব সিরিজেও মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সুধীর। সুধাকর কোমাকুলা, যিনি ‘কুন্দনাপু বোম্বা’-তে সুধীরের সহ-অভিনেতা ছিলেন, তিনিই সোশ্যাল মিডিয়ায় সুধীরের মৃত্যুর খবর জানান।

অভিনেতাকে নিয়ে সুধাকর সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, খুবই ভালো এবং নরম মনের মানুষ ছিলেন! আপনাকে জেনে এবং আপনার সাথে কাজ করে দারুণ আনন্দিত হয়েছি! আপনি পরলোক গমন করেছেন এই সত্যটি মানতে পারা যাচ্ছে না! ওম শান্তি! তাঁর মৃত্যুতে আরও বেশ কয়েকজন অভিনেতা তাদের শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।

ডিসিপি (জোন-২) আনন্দ রেড্ডি বলেন যে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে সুধীরের ভর্তির বিষয়ে জানিয়েছিল, কিন্তু তার মৃত্যুর খবর দেয়নি। অভিনেতার পরিবারের সদস্যরা দেহ নিয়ে গিয়ে জ্ঞানপুরম শশ্মানে দাহ করেন। তিনি আরো জানান, কীটনাশক খাওয়ার পর হায়দ্রাবাদে তার চিকিৎসা করা হয়েছিল এবং পরে ডাক্তারের পরামর্শে ভাইজাগে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। ঘটনার তদন্ত চলছে। তার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা চলছে এবং তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে মামলা করা হবে কি না। কারণ ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া ছাড়াই দেহ সৎকার করে ফেলা হয়েছে।

অভিনেতার বন্ধুরাও তার মৃত্যুর খবর শুনে হতবাক হয়েছেন। তিনি কিছুটা সংবেদনশীল কিন্তু হাসিখুশি মানুষ ছিলেন। পুলিশের সন্দেহ যে তার এই চরম পদক্ষেপের পিছনে আর্থিক সমস্যার সাথে মিলিত কিছু ব্যক্তিগত কারণ থাকতে পারে। সুধীরের বাবা গোপাল কৃষ্ণ একজন সিভিল কন্ট্রাক্টর ছিলেন এবং কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। সুধীর ২০১৩ সালে টলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন এবং ‘কুন্দনাপু বোম্বা’ সিনেমার মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পান। তবে চলচ্চিত্র জগতে তিনি তেমন সুযোগ পাননি।