Kunal Ghosh, Sujan Chakraborty, CPIM, TMC, কুনাল ঘোষ, সুজন চক্রবর্তী, সিপিআইএম, তৃণমূল
৩৪ বছর যোগ্যতা ছাড়াই চাকরি করছেন সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী - নিয়োগ দুর্নীতিতে দাবি কুনাল ঘোষের

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ দুর্নীতির জোয়ারে একের পর এক হচ্ছে পর্দা ফাঁস। তৃণমূলের অভিযোগ সুজন চক্রবর্তীর চাকরিটাও ছক করেই পাওয়া। সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগই শেষ নয়, নিশানার তীর এখন তার স্ত্রী-র দিকে। তাদের দাবি, সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীও যোগ্যতা ছাড়াই হাতিয়েছে ভালো চাকরি।

টুইটের মাধ্যমে হল এক মহাযুদ্ধ। টুইটার মাধ্যমেই তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি যে, সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তী নাকি কোনরকম লিখিত বা ইন্টারভিউ পরীক্ষার ছাড়াই দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে চাকরিটা বাগিয়েছেন।

আর তিনি নিশ্চিন্তে এই ৩৪ বছর ধরে যোগ্যতা ছাড়াই মোটা মাইনে নিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি তার অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারের ছবিও ফাঁস করে দিল টুইটের মাধ্যমে। এরপর একটি প্রেস কনফারেন্সে কুনাল ঘোষ চাকরি সংক্রান্ত সবকিছু নথিপত্রই সকলের সামনে হাজির করেন।

সকাল প্রায় পৌনে বারোটা নাগাদ কুনাল ঘোষ সরাসরি টুইটের মাধ্যমে আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী এবং সুজন চক্রবর্তীকে। তারপর দুপুর গড়াতেই তৃণমূলের অভিযোগ সম্মুখে আসে যে, সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী-র চাকরিটাও ভুয়ো। কুনাল ঘোষ সমস্ত নথিপত্র বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে পাঠিয়েছেন খতিয়ে দেখবার জন্য। তিনি আরও অনুরোধ করেছেন যে, বাম আমলে কারা কোথায় কিভাবে ভুয়ো চাকরি করছেন সেই সমস্ত কিছু যেন খতিয়ে দেখা হয়।

কুনাল ঘোষের দাবি সিবিআই ইডি শুধুমাত্র তৃণমূলের ক্ষেত্রেই হবে কেন? বাম আমলেও তাবড় তাবড় নেতারা রয়েছেন যারা এখনো দুর্নীতি করেই মোটা অংকের অর্থ উপার্জন করছেন। তাদের বিরুদ্ধেও সিবিআই-এর তদন্ত শুরু করা দরকার। তাই শিক্ষামন্ত্রীকে অনুরোধ তিনি যেন উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে বামেদের মুখোশ খোলার চেষ্টা করেন।

ওদিকে আদালতে পেশ করার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতাদের বিরুদ্ধে। তিনি উচ্চ গলায় বলেছেন যে, CAG রিপোর্ট খুললেই সবকিছু প্রমাণিত হবে যে শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তী কিভাবে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে আছেন। তারা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও ভুয়ো নিয়োগের জন্য অনেকবার বলেছিলেন। কিন্তু তিনি কিছুতেই মানতে রাজি ছিলেন না তখন।