Kunal Ghosh, TMC, Sujan Chakraborty, CPIM, job-corruption in west bengal, কুনাল ঘোষ, তৃণমূল, সুজন চক্রবর্তী, সিপিআইএম, পশ্চিমবঙ্গের নিয়োগ দুর্নীতি
সুজনদা, পরিবারের ১৩ জনের সরকারি চাকরির তালিকাটি কি ঠিক? - চাকরি-দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন কুনাল ঘোষের

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এখন রাজ্য-রাজনীতি উত্তাল। চলছে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের পালা। বিরোধীদের আক্রমনে কোণ ঠাসা শাসক দল। তার থেকে বের হাওয়ার উপায় হিসেবে এখন তারা পূর্বতন সরকারের বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলতে শুরু করেছে। অভিযোগ উঠেছে, বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর পরিবারের লোকজন দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছে।

তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ জানিয়েছেন, ঘটনার অভিযোগ যদি মিথ্যা হয় তাহলে এমন রটনার নিন্দা করা হবে। তার দাবি, সিপিএমের সূত্র থেকেই এই তালিকা পাওয়া গিয়েছে। তবে তালিকা সন্দেহজনক তো বটেই। কারণ বাম আমলে বেকারের সংখ্যা নিহাত কম ছিল না। সেই সময় দাঁড়িয়ে একটি পরিবার থেকে এতজন চাকরি পাওয়া নেহাত কাকতালীয় নয়।

এ প্রসঙ্গে কুনাল ঘোষ সুজন চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসা করেছেন যে, সুজনদা, তালিকাটি কি ঠিক? আর যদি ঠিক হয়ে থাকে, তবে এক পরিবার থেকে এত জনের চাকরি পাওয়া কি স্বাভাবিক? তবে যদি তালিকা ভুল হয়ে থাকে, রটনা হয়, তবে এর নিন্দা করা হবে। আর যদি তালিকা সঠিক হয় তবে এর তদন্ত করা হোক।

বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি নিয়ে প্রথম প্রশ্ন তুলেছিল রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। এ নিয়ে একটি চিরকুটও পোস্ট করে তৃণমূলের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল। যেখানে দেখা যাচ্ছে দীনবন্ধু অ্যান্ডুজ কলেজের অধ্যক্ষকে একটি চিরকুট লেখা হয়েছে। আর সেই চিরকুটের নিচে সই রয়েছে মিলি চক্রবর্তীর। যিনি সম্পর্কে সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী। চিরকুট প্রকাশের পাশাপাশি তৃণমূলের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে দাবি করা হয় যে, মিলি চক্রবর্তী কোনদিন পরীক্ষা না দিলেও তিনি গত ৩৪ বছর ধরে দীনবন্ধু অ্যান্ডুজ় কলেজে কাজ করেছেন।

উক্ত চিরকুটের সাথে তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ একটি তালিকাও প্রকাশ করেছেন, যেখানে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর পরিবারের একাধিক সদস্যের নাম রয়েছে। নাম রয়েছে সুজন চক্রবর্তীর শ্বশুর শান্তিময় ভট্টাচার্য, বড় ভায়রা অমিতাভ সেন, বড় শালি ছবু ভট্টাচার্য, বড় শালির ছেলে, মেজ ভায়রা, মেজ শালি, সেজ শালি, ছোট ভায়রা সহ ১৩ জনের। উপরোক্ত প্রত্যেকেই হয় সরকারি চাকুরে কিংবা একসময় সরকারি চাকরি করতেন এবং বর্তমানে অবসর নিয়েছেন। যদিও এই তালিকার সত্যতা এখনো বিচার করা সম্ভব হয়নি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দীনবন্ধু অ্যান্ডুজ় কলেজেই সুজন বাবুর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তী চাকরি করতেন এবং ২০২১ সালে অবসর গ্রহণ করেছেন। তিনি এখনো রাজ্য সরকারের থেকে পেনশন নিয়ে থাকেন। যদিও সুজন চক্রবর্তী এবং তার স্ত্রী মিলি চক্রবর্তী তৃণমূলের এই অভিযোগ অস্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছেন। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি সিপিএম সরকারে থাকাকালীন সুজনবাবু ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীকে এই চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন।