সুনীল শেট্টি, Sunil Shetty, Yogi Adityanath, যোগী আদিত্যনাথ
হ্যাশট্যাগ বয়কট নিয়ে যোগীর সাথে আলোচনা সুনীল শেট্টির, বন্ধ করার আর্জি জানালেন তিনি | ছবি - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ- বর্তমানে টলি-বলি উভয় ইন্ডাস্ট্রিতে একাধিক ছবি বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা করতে পারছে না। অনেক ছবি নিয়েই অভিযোগ, আপত্তি জানাচ্ছেন দর্শকরা। এমনকি বয়কটের ডাকও দিচ্ছেন তারা। তাই সম্প্রতি ইন্ডাস্ট্রির এই দুর্যোগের ব্যাপারে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সাথে কথা বললেন অভিনেতা সুনীল শেট্টি (Sunil Shetty)। বলি ইন্ডাস্ট্রির ভালো কাজের কথা তুলে ধরে দর্শকদের বোঝানোর কথা বললেন সুনীল শেট্টি।

সাম্প্রতিক সময়ে শাহরুখ-দীপিকা অভিনীত ‘পাঠান’ ছবির “বেশরম” গানের দৃশ্য এবং ছবির নাম নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে রাজনৈতিক মহল সহ সর্বত্র। এছাড়া ২০২২ সালে বক্স অফিসে ফ্লপ হয়েছে বলি ইন্ডাস্ট্রির বেশ কিছু ছবি। ফলে ক্ষতি হচ্ছে বক্স অফিসের।

তাই সম্প্রতি অভিনয় জগতের আরো কিছু ব্যক্তিরা সহ সুনীল শেট্টি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ-এর সাথে আলোচনায় বসলেন হ্যাশট্যাগ বয়কটের ব্যাপারে। অভিনেতা সুনীল শেট্টি যোগী আদিত্যনাথকে বলেন, ইন্ডাস্ট্রির ভালো দিকটা তুলে ধরতে। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সাথে এই বিষয়ে কথা বলতেও বললেন তিনি।

বর্তমানে অনেকেই বেশ কিছু ছবি ‘হ্যাশট্যাগ বয়কট’ করার ডাক দিয়েছেন। তাই বয়কট বন্ধ করার কথা যোগী আদিত্যনাথকে বললেন সুনীল। তিনি বলেছেন,” হ্যাশট্যাগ বয়কট আপনার পদক্ষেপে বন্ধ হতে পারে। আপনি জানান, আমরা অনেক ভাল কাজও করেছি। হ্যাঁ, আমাদের মধ্যে হয়তো সামান্য কিছু অংশের মানুষ হয়তো খারাপ রয়েছেন, কিন্তু একটা সিংহভাগ অংশ ভাল কাজের সঙ্গেই যুক্ত। দর্শকদের কাছে আমাদের সম্পর্কে ধারণা বদলাতে হবে। যোগী আদিত্যনাথ কাছে সুনীল শেট্টি আর্জি জানান এই বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলতে।”

বর্তমানে একাধিক ছবি ফ্লপ হওয়ায় খুবই দুঃখিত সুনীল। তিনি বলেছেন, অভিনয় জগতের সবাই খারাপ নন। তারা আগে অনেক ভালো ভালো কাজ করেছে। তাই কিছু জনের জন্য অভিনয় জগতের সকলকে খারাপ বলা উচিত নয়। তাই তিনি বলেছেন, “আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে এই “হ্যাশট্যাগ বয়কট” বন্ধ করার জন্য।”

এদিন যোগী আদিত্যনাথ-এর উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন যে, “আমাদের অভিনেতা তৈরির ওপর নজর দেওয়া উচিত। সেই সঙ্গে আমাদের টেকনিক্যাল টিম গঠন করার দিকেও নজর দেওয়া উচিত। স্থানীয় মানুষের ভাবনাকে মাথায় রেখে কাজ করা উচিত আমাদের। স্থানীয় জায়গায় কোম্পানি তৈরি হলে স্থানীয় মানুষেরাও কাজ পাবেন।”