পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ বর্তমানে প্রায় প্রতিদিনই সংবাদপত্রিকায় উঠে আসে ধর্না, অনশন প্রভৃতির হেডলাইন। কোথাও না কোথাও, কোনো না কোনো কারণে ধর্না অথবা অনশনে বসছেন আমজনতা। সম্প্রতি এই ধরনের ঘটনা ঘটলো বাংলাদেশের নীলফামারির রামনগর ইউনিয়নের বড় খামতাপাড়া গ্রামে। মাস্টারমশাইকে বিয়ে করার দাবি জানিয়ে অনশনে বসলো এক দশম শ্রেণীর ছাত্রী।
আমরা কম-বেশি সকলেই জানি বর্তমানে চাকরিপ্রার্থীরা দুর্নীতির কবল থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ধর্না-অনশনে বসছেন। তবে সম্প্রতি ধর্নায় বসতে দেখা গেল এক দশম শ্রেণীর পড়ুয়াকে। মাস্টারমশাইকে ছাড়া তিনি আর কাউকে বিয়ে করবেন না, এই দাবি নিয়ে মাস্টারমশাইয়ের বাড়ির সামনে অনশনে বসল বাংলাদেশের ওই পড়ুয়া।
এমনকি সেই পড়ুয়া অভিযোগ জানিয়েছে যে, ওই মাস্টারমশাই বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন। তবে এখন সেই প্রাইভেট টিচার এড়িয়ে যাচ্ছেন সেই বিয়ের প্রসঙ্গ। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ওই মাস্টারমশাইয়ের নাম মনিরুজ্জামান। গত দু’বছর ধরে ওই টিচারের বাড়িতে পড়তে যেত ওই ছাত্রী।
এই নাবালিকার বাবা বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যমের কাছে মনিরুজ্জামানের এই অকর্মতার জন্য পুলিশের কাছে বিচার চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, তার মেয়ে এখনও ছোটো। তার মেয়ের সরলতার সুযোগ নিয়ে মনিরুজ্জামান এরকম করেছেন। তাই পুলিশকে এর বিচার করতে হবে। অন্যদিকে, ওই মাস্টারমশাইয়ের পরিবার এই বিষয় নিয়ে কোনোরকম মুখ খোলেনি।
মনিরুজ্জামান টিউশন করার পাশাপাশি তাদের স্থানীয় চাঁদেরহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ল্যাব অপারেটরের কাজ করেন। ছাত্রীকে পড়াতে পড়াতেই মনিরুজ্জামানের সাথে ওই নাবালিকার এক প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এমনকি বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দেয় ওই ছাত্রীকে।
কিন্তু বর্তমানে মাস্টারমশাই সেই প্রতিশ্রুতি না মানায় ওই দশম শ্রেণীর পড়ুয়া অভিযোগ জানায়, যতবার ওই শিক্ষককে বিয়ের কথা বলা হয়েছে, ততবারই তিনি নানা অজুহাত দেখিয়ে বিয়ের প্রসঙ্গ পাল্টে ফেলেছেন।এছাড়া ওই পড়ুয়া আরো বলেন, মনিরুজ্জামান তাকে বিয়ে না করলে সেই পড়ুয়া আত্মহত্যার পথ বেছে নেবে। কেবলমাত্র বিয়ে করার পরই সেই পড়ুয়া অনশন ছাড়বে।