পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ বেড়েছে। ঝড়ের গতিতে বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৮৬৩ তে।
যার ফলে করোনা মোকাবিলায় টিকাকরণকে একমাত্র পথ হিসেবে বেছে নিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। রাজ্যে ইতিমধ্যেই করোনার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কর্মসূচি চলছে। তবে এবার কিছুদিনের মধ্যেই শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের-কেও করোনা টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের-কে টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর।
করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বয়স্কদের তুলনায় যেহেতু তরুণেরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সেই কারণে ৪৫ বছরের নিচে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষা-কর্মীদের টিকাকরণ করা হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা দপ্তর। শিক্ষকদের টিকা দেওয়ার প্রসঙ্গে বিকাশ ভবনের এক কর্মকর্তা বলেন, “কলকাতার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষা-কর্মীদের টিকাদানের কাজ শুরু হবে।”
এছাড়াও তিনি বলেন, “শহরের পাঁচটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই করোনা টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।কসবা শিক্ষা ভবন, গভর্নমেন্ট স্পনসরড মাল্টিপারপাস, গার্ডেনরিচ নুটবিহারী দাস গার্লস হাই স্কুল ও বড়িশা হাই স্কুলে করোনা টিকা দেওয়া হবে” বলে জানিয়েছেন তিনি। কিভাবে শিক্ষক-শিক্ষিকারা এই করনা টিকার ডোজ পাবেন ? সে বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্র সরকারের দ্বারা প্রচলিত কো-উইন অ্যাপটিতে টিকা নেওয়ার জন্য নাম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
তবে ৪৫ বছরের কম বয়সী শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষা-কর্মীদের কে রেজিস্ট্রেশন করার কথা জানানো হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন করলেই পেয়ে যাবেন করোনা টিকার ডোজ।
৪৫ বছরের নিচে শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের টিকা দেওয়ার প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই টিকাকরণ কর্মসূচি চার থেকে পাঁচ দিন ধরে চলবে। প্রতিটি কেন্দ্রে ২০০০ করোনা টিকা শিক্ষক ও শিক্ষা-কর্মীদের কে দেওয়া হবে।
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যারা একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের ডিউটিতে ছিলেন। তাদের মধ্যে অনেকেরই করোনা টিকার দুটি ডোজই নেওয়া হয়ে গিয়েছে। আবার অনেকেই নিজ পরিকল্পনাতেই স্বাস্থ্য কেন্দ্র তেকে টিকা গ্রহণ করেছেন। তবে যে শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষ-কর্মীরা টিকা গ্রহণ করেছেন এবং যারা টিকা গ্রহণ করেননি তাদের একটি লিস্ট তৈরি করার কথা জানিয়েছে রাজ্য সরকার। স্কুল গুলির তরফ থেকে পাঠানো লিস্ট গুলো দেখেই টিকাকরণ হবে বলে জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।