পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ ভারতে লাদাখ সীমান্ত থেকে লাল সৈনিকরা সরাতে একটু শান্তির আশ্বাস পেয়েছিল ভারতবাসী। যদিও সেনাবাহিনী এবং সেনাবাহিনীর উচ্চপর্যায়ের অফিসারেরা লাল অর্থাৎ চীনা সৈনিকদের কখনই পুরোপুরি ভাবে বিশ্বাস করেনি। যার প্রমাণ পাওয়া গেলো সহজেই। তিব্বতের মত চীনা সৈনিকদের এবার মায়ানমার দখলের প্ল্যান সামনে আসলো বিশ্ববাসীর।
মূলত মায়ানমারের সেনারা সেই দেশের সরকারকে উৎখাত করে দেশ নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়েছে। সেনাদের এই রকম আচরণের পেছনে যে চীন সরকারের এবং চিনা সেনার পুরোপুরি হাত আছে তা বলাই বাহুল্য। এবারে চীনের লক্ষ্য মায়ানমার। মনে করা হচ্ছে যে, চীন এবার মায়ানমারকে দুর্বল করে পুরো দেশে দখল করে নিতে চাইছে।
যেহেতু মায়ানমারের সাধারণ মানুষ সেই দেশের সেনার বিরোধিতা করছে এবং গণ আন্দোলনে সামিল হয়েছে, সেই কারণে চীনা সরকার সেই দেশের সেনাকে কাজে লাগিয়ে মায়ানমারের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চাইছে। অনেকেই মনে করছে এটা চীনের মাস্টার প্ল্যান। তারা প্রথমে আন্তর্জাতিক মঞ্চে মায়ানমারের সেনাদের পক্ষ নেবে এবং তারপর মায়ানমারের অর্থনীতি দুর্বল করে সেনা এবং জনতা সংঘাত বাধিয়ে মায়ানমারকে নিজেদের দখলে নিয়ে আসবে।
এই একই পথে চীন তিব্বতকে নিজেদের দখলে এনেছিল। বর্তমানে চীন আমারিকার সমকক্ষ হয়ে উঠেছে। তবে কোনও দেশই বর্তমানে চিনের বিরোধিতা করতে চাইছেনা।
যেখানে ইরান আমেরিকার সাথে সমস্ত বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে সেই ক্ষেত্রে চীন এখনও ইরান থেকে কাঁচা তেল বা জৈব তেল সংগ্রহ করে চলেছে। এখন দেখার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে কিনা অর্থাৎ তিব্বতের মত চীন মায়ানমার দখল করতে পারে কিনা।