ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, fire,
গার্ডেনরিচে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে মজুদ ২৩ টি দমকল ইঞ্জিন | ছবিঃ সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ নিমতলা অগ্নিকাণ্ডের জের এখনো পর্যন্ত কাটিয়ে উঠতে পারেনি। তারই মধ্যে আজ শনিবার শহরে ফের অগ্নিকাণ্ড। শনিবার সকালেই গার্ডেনরিচের ফুড কর্পোরেশনের একটি গুদামঘরে আচমকা আগুন লেগে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে আগুনের লেলিহান শিখা। ইতিমধ্যেই সেখানে উপস্থিত হয়েছে দমকলের ২৩ টি ইঞ্জিন।

জানা গিয়েছে, আজ সকাল দশটা নাগাদ গার্ডেনরিচ এর ফুড কর্পোরেশনের একটি গুদামে হঠাৎই আগুন লাগে। আগুন লাগার সাথে সাথে সেখানে উপস্থিত সকল মানুষ দমকল বাহিনীকে ফোন করেন। সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় দমকলের ১০ টি ইঞ্জিন। তবে ওই গুদাম ঘরের ভিতর বহু দাহ্য পদার্থ থাকায় কোনমতে আগুন নিয়ন্ত্রণে সম্ভব হচ্ছিল না। যার ফলে দমকলের আরও ১৩ টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য দমকলের ২৩ টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে মজুত রয়েছে।

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, fire,
গার্ডেনরিচে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে মজুদ ২৩ টি দমকল ইঞ্জিন | ছবিঃ সংগৃহীত

দমকল বাহিনীর এক কর্মী জানিয়েছেন, গোডাউনের মধ্যে অনেক ধার্য পদার্থ রয়েছে যার কারণেই মাঝেমধ্যে বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। সম্পূর্ণ এলাকা কালো ধোঁয়ার চাদরে মুড়ে গিয়েছে। দমকল বাহিনীর জানাচ্ছেন ধার্য পদার্থ থাকার কারণেই কালো ধোঁয়া সৃষ্টি হচ্ছে।

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় কলকাতা পুলিশ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এলাকাটি ঘিঞ্জি হওয়ার কারণে পার্শ্ববর্তী একটি বস্তিতে আগুন লেগেছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। ঝড়ো বাতাসের কারণে আগুনের লেলিহান শিখা ওই বস্তিতে গিয়ে পড়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। দমকলের পাশাপাশি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয় বাসিন্দারাও নেমে পড়েছেন।

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, fire,
গার্ডেনরিচে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে মজুদ ২৩ টি দমকল ইঞ্জিন | ছবিঃ সংগৃহীত

তারাতলা থেকে গার্ডেনরিচ যাওয়ার রাস্তার সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কলকাতা প্রশাসনের তরফ থেকে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জেরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯ টা ৫৫ মিনিট নাগাদ নিমতলার একটি বাড়িতে কাঠের গোডাউন হঠাৎই আগুন লাগে। এছাড়াও আজ আরও একটি ব্যাটারির কারখানায় আগুন লাগে। সেখানে অবশ্য আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে দমকল বাহিনী। জানা গেছে সেটি ডানকুনির একটি ব্যাটারির কারখানা ছিল।