
পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ পরপর তিনদিন ধরে আন্দোলনেও কোনো রকম কাজ হল না। নিজেদের সিদ্ধান্তেই অনড় রইল প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর। ইতিমধ্যেই প্রাথমিকের মোট ১১ হাজার ৬৬৫ টি শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চাকরি প্রার্থীরা আজ বিকাল ৪ টে থেকে আবেদন করতে পারবেন এবং এই আবেদন করার শেষ তারিখ জানানো হয়েছে ১৪ ই নভেম্বর রাত ১২ টা পর্যন্ত। কোন কোন জেলায় কত সংখ্যক শূন্যপদ রয়েছে তারও বিস্তারিত তথ্য ওই বিজ্ঞপ্তিতে তুলে ধরেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এছাড়াও ঐ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, ৪০ বছরের নিচে টেট উত্তীর্ণরা এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
সম্প্রীতি, বেশ কয়েকদিন ধরে ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরা সল্টলেকের করুনাময়ীতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাদের দাবি, প্রাথমিকে শিক্ষক হিসেবে ইন্টারভিউ ছাড়াই তাদের নিয়োগ করতে হবে বা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। তবে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ সেই আন্দোলন ভঙ্গ করে পুলিশ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়, চাকরিপ্রার্থীদের এই দাবি গ্রহণযোগ্য নয়।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে গেলে ইন্টারভিউতে অংশগ্রহণ করতেই হবে। তবে শিক্ষা পর্ষদের এহেন সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের অনেকেরই দাবি জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে থাকার কারণে তাদের অনেকেরই বয়স ৪০ বছর ছাড়িয়ে গিয়েছে। যার কারনে তারা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
এছাড়া এদিন নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, টেট উত্তীর্ণ এবং প্রশিক্ষিত প্রত্যেকেই এই নিয়োগে অংশগ্রহণ করতে পারবেন বা আবেদন করতে পারবেন। যার কারনে আন্দোলনকারীদের মান্যতা দেয়নি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ২০১২, ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরাও নিয়োগ প্রক্রিয়া আবেদন করতে পারবেন তবে আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ৪০ বছরের নিচে।