পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ গত সোমবার রাতে রামপুরহাটে বোমা মেরে খুন করা হয় তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখকে। উপপ্রধান খুনের পর গ্রামে লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। এই দুর্ঘটনায় আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। যা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল।
রামপুরহাট বাগটুই গ্রামের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের সাতটি বিভিন্ন পার্টিশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে একইসঙ্গে সবকটি মামলার শুনানি হয় আজ। আজ এই মামলার শুনানি শেষে একাধিক নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে রাজ্যের গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিটকে রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিরা জানিয়েছেন, এই ঘটনার গুরুত্ব বিচার করে রাজ্য সরকারকে প্রথমে রিপোর্ট পেশ করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও এই ঘটনায় তদন্ত কতটা এগিয়েছে তা খতিয়ে দেখতে চেয়ে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুর দুটোর মধ্যে রিপোর্ট জমা করতে হবে হাইকোর্টে। শুধু রিপোর্ট জমা করলেই হবে না। কেস ডায়েরি নিয়ে কোর্টে হাজিরা দিতে হবে তদন্তকারী আধিকারিককেও।
এছাড়া হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, রামপুরহাটের বাগটুই গ্রামের ঘটনাস্থলে লাগাতে হবে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং সেটি মনিটরিং করবে পূর্ব বর্ধমানের জেলার জর্জ। এছাড়াও জানানো হয়েছে, ওই ঘটনাস্থলের ছবি বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে সংগ্রহ করতে হবে পাশাপাশি ভিডিওগ্রাফিও করতে হবে। আরও জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় ফরেনসিক দলকে ঘটনাস্থলে গিয়ে সঠিক তথ্য এবং উপযুক্ত প্রমান পত্র উদ্ধার করে পরীক্ষাগারে পাঠাতে হবে।
এই ঘটনায় গ্রামবাসীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন করেন বিজেপির আইনজীবীরা। গ্রামবাসীর নিরাপত্তা দিতে রাজ্য সরকারকে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এছাড়াও যারা সাক্ষী রয়েছেন তাদেরকে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়ার কথা জানিয়েছে আদালত। জানানো হয়েছে, পূর্ব বর্ধমান জেলার জর্জের সঙ্গে বৈঠক করে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও আইজিকে খুব শীঘ্রই সাক্ষীদের নিরাপত্তা দিতে হবে।