পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ ফের বিধ্বংসী আগুন দিল্লির হাসপাতালে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারালেন এক রোগী। ইতিমধ্যেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত দমকলের ৯ টি ইঞ্জিন। আগুন নেভানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে দমকল বাহিনী।
আজ শনিবার সকালে রোহিণীর পুথ খুরদ এলাকায় ব্রহ্মশক্তি হাসপাতালে আচমকাই লাগে আগুন। মুহুর্তের মধ্যেই তা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের রূপ নেয়। প্রথমে ওই হাসপাতালের চতুর্থ তলের আইসিইউতে আগুন লাগে, তার কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা এসে পৌঁছায় হাসপাতালের তৃতীয় তলে। এই ঘটনায় হাসপাতালের কর্মী ও রোগীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। রোগীদেরকে প্রাণের বাঁচাতে অন্য স্থানে হস্তান্তরিত করা হয় এবং হাসপাতাল কর্মীরাও প্রাণে বাঁচতে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়।
এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড দেখে তড়িঘড়ি করে খবর দেয়া হয় দমকল বাহিনীকে। মুহূর্তের মধ্যেই ঘটনাস্থলে দমকলের ৯ টি ইঞ্জিন উপস্থিত হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে উদ্ধার কার্য চালায় দমকল বাহিনী। এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় এক রোগীর। দমকল বাহিনীর কর্মীরা জানিয়েছেন, ভেন্টিলেশনে থাকা একজন রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি তাদের পক্ষে, অগ্নিদগ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন তিনি। তবে ওই হাসপাতলে কিভাবে আগুন লাগলো ? তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।
এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড শর্ট সার্কিট এর ফলে ঘটেছে বলে প্রাথমিক সূত্রে মনে করা হচ্ছে। তবে দমকল বাহিনীদের মতে, হাসপাতলে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা যথাযথ ছিল না। যার কারণে আগুনের লেলিহান শিখা এমন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এই ঘটনাটি বর্তমানে উত্তেজিত করে তুলেছে রোগীর পরিজনদেরকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন তারা। এছাড়াও তাদের প্রশ্ন, ভেন্টিলেশনে থাকা রোগীকে কেন নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হলো না ? ইতিমধ্যেই এই ঘটনাকে নিয়ে বিতর্কের ডানা বেঁধেছে। তবে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী দল।