নির্বাচন কমিশন, বিধানসভা ভোট, কেন্দ্রীয় বাহিনী, আইএসএফ, সিআরপিএফ
চিত্র- সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গে চলছে বিধানসভা ভোট। সেই বিধানসভা ভোট গ্রহণকে ঘিরেই শাসক দল এবং বিরোধী পক্ষের মধ্যে শুরু হয়েছে মারাত্মক অশান্তি। আজ পঞ্চম দফা ভোটেও সেই অশান্তি অব্যাহত। কিছুদিন আগেই শীতলকুচি কাণ্ডকে ঘিরে উত্তেজনা চরমে উঠেছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মারা গেছিল চারজন তৃণমূল কর্মী।

তার পরই নির্বাচন কমিশনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। বলা হয়েছিল যে কোনও রকম কোনও পরিস্থিতিতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালাতে পারবেনা। কিন্তু পঞ্চম দফা ভোটের চলাকালীন সেই নির্দেশ অমান্য করে গুলি চালাতে বাধ্য হল কেন্দ্রীয় বাহিনী।

দেগঙ্গার চাকলার ২১৫ নম্বর বুথের কুড়ুলগাছা গ্রামে এই ঘটনা ঘটায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিছুদিন আগেই চতুর্থ দফা ভোটে শীতলকুচির জোড়াপাটকির একটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহত হন চারজন ভোটার। আবার আহত হন অনেকে। সেই ঘটনা ঘিরে তীব্র রাজনৈতিক অশান্তি শুরু হয়েছিল চারিদিকে।

তার পরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশন। সঙ্গে সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্তে আসা হয় যে কোনও রকম কোনও পরিস্থিতিতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালাতে পারবেনা। কিন্তু তা স্বত্বেও উত্তর ২৪ পরগণার দেগঙ্গায় চাকলা পঞ্চায়েতের ২১৫ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর খবর পাওয়া যায়।

সূত্রের খবর অনুযায়ী ২১৫ নম্বর বুথের বাইরে সাধারণ মানুষের অযথা জমায়েত ঘটে। সেক্ষেত্রে মুখে বলায় কাজ না হওয়ায় জাওয়ানরা জনতাকে লাঠি নিয়ে তাড়া করে। কিন্তু এই প্রসঙ্গে আইএসএফ এর কর্মীরা মন্তব্য করেন যে, জাওয়ানরা শুন্যে গুলি ছোড়েন। কেউ হতাহত হয়নি এই ঘটনায়।

এই ঘটনা সম্পর্কে মন্তব্য পেশ করেছে নির্বাচন কমিশন। তাদের মতে, কোনও রকম গুলি চালানো বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শুধু মাত্র সাধারণ মানুষ এলাকায় উত্তেজনা ছড়ানোর উদ্দেশ্যে এই কথা রটিয়েছে। যদিও এই প্রসঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের বক্তব্য এখনও সামনে আসেনি।