পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ- বিরোধী দল থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই সমালোচনায় মত্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর শিল্প নিয়ে। তার লেখা থেকে শুরু করে আঁকা ছবি সব কিছু নিয়ে নানা প্রশ্ন ও কটাক্ষের মধ্যে পরতে হয়েছে বহুবার। সোমবার নজরুল মঞ্চ থেকে তিনি সেই সব প্রশ্ন ও কটাক্ষের এক্কেবারে কড়া জবাব দিয়ে বললেন, তার বইও ছবির রয়্যালটি দিয়েই তিনি তার খরচ সামলান। সরকারি সুযোগ-সুবিধা, এমনকি এক টাকাও নেন না মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে।

মুখ্যমন্ত্রী সোচ্চার হয়ে প্রতিবাদ জানান সেই সমস্ত মানুষদের বিরুদ্ধে যারা অকারনেই তার ছবি প্রদর্শনী নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তার মতে তাদের কোনো অধিকার নেই শিল্পীর শিল্প চর্চা প্রসঙ্গে কোনো খারাপ মন্তব্য করার। কোনো শিল্পী তার সৃষ্টি কীভাবে ব্যবহার করবেন, তা তার একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অনেকেরই জিজ্ঞাস্য যে তার সংসার কিভাবে চলে ? সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০৭-১০৮ টা বই প্রকাশিত হয়েছে এবং সেগুলি বাজারে রমরমিয়ে বিক্রিও হচ্ছে। তিনি প্রতি বছর বইয়ের রয়্যালটি পান ১০ শতাংশ করে। যতগুলো বই বিক্রি হয়, সবটা না পেলেও তিনি যতটা পান ততটাই যথেষ্ট তার খরচাদি সামলানোর জন্য। তার বই নাকি সব থেকে বেশি বিক্রি হয় বাংলায়। আর এর জন্য তিনি গর্বিত। তাই তিনি বাংলার মানুষের প্রতি চির কৃতজ্ঞ যে, তারা মুখ্যমন্ত্রীর লেখাগুলোকে এত পছন্দ করছেন।

তার প্রাপ্য বইয়ের রয়্যালটির পাশাপাশি তার গানের সিডির রয়্যালটির কথাও এইদিন বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমার গানের সিডি আছে ইন্দ্রনীলরা জানে। গোল্ডেন ডিস্ক অনেক আগেই পেয়ে গিয়েছে।” সেই সিডি থেকে রয়্যালটি আসে বছরে প্রায় ৪-৫ লক্ষ টাকা। আর এই অংকের অর্থটি তার নাকি জন্য যথেষ্ট।

এর আগেও তিনি অনেকবার তাঁর বই, ছবির রয়্যালটির কথা সর্বসমক্ষে বলেছেন। এদিনও তিনি আবার বলেন সেই কথা। এদিন খানিক রেগেই বলেন যে, যথার্থ জ্ঞান নেই যাদের তারাও মুখে বড়সড় কথা আউড়ে থাকেন। যেহেতু তিনি সাতবার সাংসদ হয়েছিলেন, তাই পেনশন বাবদ পান ১ লক্ষ টাকা। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবেও তিনি সব মিলিয়ে দেড় লক্ষ টাকার উপরে পেতে পারেন। কিন্তু সেই টাকা ছুঁয়েও দেখেন না তিনি।

সাড়ে ১১ বছর তিনি এক পয়সাও নেননি। তিনি বলেন, তিনি একটা ছবির প্রদর্শনী করলেই নিমেষে ৬ কোটি থেকে ৭ কোটি আয় করতে পারেন, কিন্তু করেন না। তিনি আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতোই খেটে খেতেই বিশ্বাসী। তবে এই মন্তব্য শুনে বিরোধীরা বেশ হাস্যকৌতুকে মজেছেন।