করোনা ভাইরাস, করোনা ভ্যাক্সিন, কোভিশিল্ড, কো- ভ্যাক্সিন , সেরাম ইন্সটিটিউট
চিত্র- সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ সারা দেশে চলছে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ। এরই মধ্যে সারা দেশ জুড়ে শুরু হয়ে গেছে টিকাকরণ। ৬০ বছরের ওপরে এবং ৪৫ বছরের ওপরে সকলের টিকাকরণ হচ্ছিল এতদিন তবে মে মাস থেকেই ১৮ বছরের ওপরে টিকাকরণের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র।

এমত অবস্থায় যাদের করোনা ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ হয়ে গিয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে যেমন দ্বিতীয় ডোজটা জরুরি, তেমনই জরুরি সকলের ক্ষেত্রে সমান ভাবে ভ্যাক্সিনের বণ্টন। তবে সারা দেশে ভ্যাক্সিনের অভাব চলায় সকলের মধ্যেই একটা আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার জানান যে, যে সমস্ত মানুষ করোনার ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নিয়েছেন তাঁদের জন্য সরকার একটি ক্যালেন্ডার প্রস্তুত করেছে। সেই অনুযায়ী তাঁদের প্রত্যেককে করোনা ভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।

এছাড়াও করোনা ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ পাওয়া নিয়ে সকলের মনে একটা উদ্বেগের উৎপত্তি হয়েছে। সকাল থেকে যেমন ভ্যাক্সিনের লাইন পড়ছে তেমনই কথাও কথাও ইট বা কাগজের টুকরো দিয়ে লাইন রেখে দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষের মনে ভ্যাক্সিন নিয়ে যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে সে সম্পর্কে বলতে গিয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান যে, সরকারি হাসপাতালে যারা করোনা ভাইরাসের ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদেরও তালিকা তৈরি হয়েছে, সে সমস্ত ব্যক্তি সঠিক সময় করোনা ভাইরাসের ভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ পেয়ে যাবেন।

এছাড়াও জানানো হয় যে রাজ্যে কোভিশিল্ড এর ৩ লাখ ৫০ হাজার ভ্যাক্সিন পাঠানো হয়েছে। সেরাম ইন্সটিটিউট এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই বিষয়টি। যদিও এরই মধ্যে কোভ্যাক্সিনের ১ লাখ ডোজ চলে এসেছে রাজ্যে। এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে রাজ্যে এসে পৌঁছেছে ১ কোটি ৩০ লাখ ভ্যাক্সিনের ডোজ।