alapan bandyopadhyay, arvind kejriwal, narendra modi
ছবি - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ ইয়াস পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসে রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রর সংঘাত শুরু হয়ে গিয়েছিল। তবে তা ইতিমধ্যেই আরও জোরালো হয়ে দাঁড়িয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় কে ঘিরে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে আবার নতুন সংঘাত শুরু হয়েছে।

তবে কেন্দ্র ও রাজ্যের সংঘাতের মধ্যে এবার ঢুকে পড়ল দিল্লি সরকার। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় কে নিয়েই সরব হলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ইয়াস পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যের এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপর তিনি কলাইকুন্ডাতে একটি বৈঠক করেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ও উপস্থিত হন। এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির একটি রিপোর্ট তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন এবং সেখান থেকে তিনি মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে দীঘায় পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক-এর জন্য বেরিয়ে পড়েন।

ওইদিনই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বদলি করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র সরকার। গত শুক্রবার রাতে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়-এর কাছে বদলির চিঠি এসে পৌঁছায় এবং তাকে দিল্লির নর্থ ব্লকে কর্মী বর্গ ও প্রশিক্ষণ মন্ত্রকে বদলি করা হয়। চিঠির নির্দেশ অনুযায়ী, গতকাল অর্থাৎ সোমবার, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লির নর্থ ব্লকে কর্মী বর্গ ও প্রশিক্ষণ মন্ত্রকে সকাল দশটার মধ্যে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ ছিল।

কিন্তু তিনি সেখানে পৌঁছাননি, দিল্লির বদলে তিনি নবান্নের পৌঁছেছিলেন এবং তিনি যে দিল্লি যাচ্ছেন না তা নিয়ে গতকাল সকালে কেন্দ্রকে পাঁচ পাতার একটি চিঠি লিখে পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে না পৌঁছানোর কারণে তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নিতে পারে কেন্দ্র সরকার।

তবে গতকাল নিজেই অবসর নিয়েছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু অবসর নেওয়ার পর তাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর মূল উপদেষ্টা হিসাবে নতুনভাবে রাজ্যের নিয়োগ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পাশে দাঁড়ালো দিল্লি সরকার।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘এই সময় রাজ্য সরকারের সঙ্গে লড়ার সময় নয়। সবার সঙ্গে মিলে করোনার সঙ্গে লড়াই করার সময়। এই সময় রাজ্য সরকারকে সাহায্য করার সময়, ভ্যাকসিন পরিমাণ মতো দেওয়ার সময়, এই সময় সব রাজ্য সরকারের সঙ্গে মিলে টিম ইন্ডিয়া তৈরি করে কাজ করার সময়। লড়াই ঝগড়া আর রাজনীতি করার জন্য পুরো জীবন পড়ে আছে।’