
পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ- প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান এখন অর্থের অভাবে ভুগছে। অর্থের অভাব এতটাই বেড়ে গেছে যে, সেখানে সিলিন্ডারে ভরে নয়, প্লাস্টিক ব্যাগে ভরে গ্যাস বিক্রি হচ্ছে। আর সেই কারণে এবার একটি কড়া সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান সরকার। মঙ্গলবার পাক সরকার ঘোষণা করেছে যে, শক্তি সংরক্ষণ করতে এবার থেকে মার্কেট, শপিং মল ও বিয়েবাড়ির সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হবে।
পাকিস্তান সরকার জানিয়েছে যে, তারা যে সিদ্ধান্তগুলি নিয়েছেন তার মধ্যে প্রধান হল বাল্ব উত্পাদন বন্ধ করা। পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত পাকিস্থানে বাল্ব উত্পাদন স্থগিত রাখা হবে। আর এই কাজের ফলে প্রায় ২২ বিলিয়ন টাকা সঞ্চয় হবে বলে আশা করছে পাক সরকার। আর গ্যাসের ব্যবহার কমানোর জন্য এক ধরনের গিজারের ব্যবহার করা হবে প্রায় এক বছরের জন্য। এই সিদ্ধান্তের ফলে সরকারের আরও ৯২ বিলিয়ন টাকা সঞ্চয় হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া স্ট্রিট লাইটের ব্যবহারও কমাতে হবে বলে জানিয়েছে সরকার। জানা যাচ্ছে স্ট্রিট লাইটের ব্যবহার কমানোর ফলে প্রায় ৪ বিলিয়ন অর্থাত্ ৪০০ কোটি টাকা সঞ্চয় হবে।
রাষ্ট্রে আর্থিক অবস্থা পুনরায় ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের তরফ থেকে এই সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পাক সরকার। মঙ্গলবার পাকিস্তানের ক্যাবিনেটের তরফ থেকে এই জাতীয় শক্তি সংরক্ষণ পরিকল্পনা বা ন্যাশনাল এনার্জি কনজারভেশন প্ল্যানে সম্মতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সেই বৈঠকে বলা হয় যে, এবার থেকে অন্য রাষ্ট্র থেকে আমদানি করা তেলের উপরে নির্ভরশীল হয়ে থাকলে চলবে না।
মঙ্গলবার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাওয়াজা আসিফ বলেন যে, “এবার থেকে রাত সাড়ে আটটায় মার্কেট ও শপিং মলগুলি বন্ধ করে দেওয়া হবে। বিয়েবাড়িগুলিও রাত ১০টার মধ্যে বন্ধ করে দিতে হবে। শক্তি সংরক্ষণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে আমাদের ৬০ বিলিয়ন অর্থাৎ ৬ হাজার কোটি টাকার অর্থ সঞ্চয় হবে।”
সংবাদ মাধ্যমের সূত্রে জানা গিয়েছে যে, পাকিস্থানে বিদ্যুতের সঙ্কট চরমে উঠেছে। সংকট এতটাই বেড়েছে যে, পাকিস্থানে দিনের বেলায় বৈঠক করা হলে সেই বৈঠকে কোনও বৈদ্যুতিক আলো জ্বালানো হচ্ছে না। দিনের বেলায় সূর্যের আলোতেই তারা যাবতীয় কাজ-কর্ম সেরে ফেলছেন। পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আরও বলেন যে, ন্যাশনাল এনার্জি কনজারভেশন প্ল্যানের অধীনে সমস্ত সরকারি বিল্ডিং ও অফিসগুলিতেও বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে হবে। নাহলে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আগামী দশ দিনের মধ্যে সরকার রাষ্ট্রে নতুন নীতি নিয়ে আসবে বলে জানা গেছে। সরকারি বেশির ভাগ কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের নির্দেশ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।