পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ- গতকাল পশ্চিমবঙ্গে ছিল বিধানসভা ভোটের দ্বিতীয় দিন। দ্বিতীয় দিনেই রাজ্যের সবচেয়ে স্পর্শকাতর জায়গা নন্দীগ্রামে ভোটদান ঘিরে শুরু হয়ে গিয়েছিল তৃণমূল আর বিজেপির তুমুল সংঘর্ষ। আর তার জেরেই বয়ালে ৭ নম্বর বুথে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ জানান মুখ্যমন্ত্রীর। তবে সঠিক প্রমাণের অভাবে মুখ্যমন্ত্রীর জানানো অভিযোগ একেবারে খারিজ করে দেয় নির্বাচন কমিশন।
সারাদিন বাড়ি থেকে না বেরোলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে বয়ালে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তৃণমূল সুপ্রিমো পৌঁছতেই শুরু হয় তৃণমূল বিজেপি তুমুল সংঘর্ষ। সেই কেন্দ্র থেকেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী এবং সবিস্তারে সমস্ত পরিস্থিতির বর্ণনা দেন।
তারপরই বিশাল পুলিশ বাহিনী সহ আইপিএস নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি এবং অন্যান্য আধিকারিকরা সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেন এবং খতিয়ে দেখেন।সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হয় পুরো সুরক্ষা। এই প্রসঙ্গে রাজ্যপাল টুইট করে জানান যে, “সমস্যাগুলি শুনেছি, কিছুক্ষণ আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে ফোনে কথা হয়েছে।” এরপর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক এবং নিয়ন্ত্রণে আসলে মুখ্যমন্ত্রী নিজে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানান।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় আরো বলেন, “আমি নিশ্চিন্ত আইন মেনেই সব ব্যাবস্থা হবে। আমার বিশ্বাস সেই গণতন্ত্রকে বাঁচাতে এবং সমৃদ্ধ করতে সবাই আন্তরিকতার সাথেই কাজ করবে। গণতন্ত্রের স্বার্থে সঠিক পদক্ষেপ।” যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই বুথ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় মাননীয়াকে।
তবে সমস্ত অভিযোগ এবং পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে নির্বাচন কমিশন মুখ্যমন্ত্রীর করা ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ খারিজ করে দেন। নির্বাচন কমিশন জানান যে বয়ালে ৭ নম্বর বুথে বিকেল ৪ টে অবধি ৭৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। মোট ভোট দিয়েছেন ৭০২ জন।তাছাড়া নির্বাচন কমিশন জানান যে, বয়ালে ৭ নম্বর বুথে কোনও ছাপ্পা ভোট পড়েনি। মুখ্যমন্ত্রীর সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দেন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের এই রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী কি প্রতিক্রিয়া দেন সেটাই এখন অপেক্ষার বিষয়।