পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ উন্নয়নশীল ভারতে ফের একটি হাড় হিম করা দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি হল। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শোক হলো সন্তানের মৃত্যু। আর সেই সন্তানের মৃতদেহ কাঁধে করে মাইলের পর মাইল হেঁটে চলেছেন শোকাহত বাবা। এ কেমন উন্নয়নশীল ভারতের দৃশ্য ?
ঘটনাটি ছত্রিশগড়ের সুরগুজা জেলার লখিমপুর এলাকার। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ঈশ্বর দাসের কন্যা সুরেখা গত কয়েকদিন ধরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। যার কারণে গত শুক্রবার সকালে তাকে পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সাত বছরের ওই বাচ্চা শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তার শেষ রক্ষা করতে পারেননি চিকিৎসকরা। লখিমপুর কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের চিকিৎসক জানিয়েছেন, “মেয়েটির শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৬০-এ নেমে এসেছিল। গত কিছুদিন ধরেই জ্বর ভুগছিল সে। তবে চিকিৎসা কেন্দ্রে আনা মাত্র দ্রুত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু হয়। যদিও শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ মৃত্যু হয় তার।”
তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উঠছে প্রশ্ন, পিতা তার সন্তান এর মৃতদেহ কাঁধে করে নিয়ে যেতে কেন বাধ্য হল? কেন হাসপাতালে শবদেহ বহনকারী গাড়ি উপস্থিত ছিল না? তবে এই প্রশ্নের উত্তরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শবদেহ বাহী গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু হাসপাতালে গাড়ি আসার পূর্বে, ওই ব্যক্তি তার সন্তানের মৃতদেহ কাঁধে করে নিয়ে হাটা শুরু করে দেন। জানা গিয়েছে, প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে শোকের ভার কাঁধে করে বাড়ি ফিরলেন পিতা।
Surguja: Chhattisgarh Health Min TS Singh Deo orders probe after video of a man carrying body of his daughter on his shoulders went viral
Concerned health official from Lakhanpur should have made the father understand to wait for hearse instead of letting him go, Deo said(25.3) pic.twitter.com/aN5li1PsCm
— ANI MP/CG/Rajasthan (@ANI_MP_CG_RJ) March 26, 2022
শবদেহ বাহী-গাড়ির উদ্দেশ্যে ডঃ বিনোদ ভার্গব বলেন, “আমরা পরিবারকে জানিয়েছিলাম, কিছুক্ষণের মধ্যে শবদেহবাহী গাড়ি চলে আসবে। কিন্তু ওরা গাড়ির জন্য অপেক্ষা না করেই দেহ নিয়ে চলে যান।” তবে পিতা তার সন্তানের মৃতদেহ কাঁধে করে নিয়ে যখন বাড়িতে ফিরছিলেন তখনই তার সেই ভিডিও ক্যামেরা বন্দী করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে কোন এক ব্যক্তি। যার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় সমালোচনার ঝড়।
ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও ক্লিপটি দেখে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ছত্রিশগড়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, “আমি ভিডিওটি দেখেছি, চরম হতাশাজনক ঘটনা। গোটা বিষয়টির তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছি সিএমএইচও-কে (CMHO)। যাঁরা সেখানে নির্দিষ্ট পদে থেকেও নিজেদের দায়িত্ব পালন করছেন না, তাঁদের সরিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছি।”