পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) মামলায় এবার নয়া মোড়। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় উপদেষ্টা কমিটির চার সদস্যের আবেদন ফিরিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই মামলাটি শুনতে তারা আর আগ্রহী নয়। আবেদনকারীদের চতুর্থবারের চেষ্টাও বিফলে গেল। এসএসসি দুর্নীতি মামলা ফের ফিরিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার সকালে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। কিন্তু এই মামলায় সমরজিত্ আচার্য, পি কে বন্দ্যোপাধ্যায়, অলোক কুমার সরকার ও টি পাঁজা আদালতকে জানান, তাদেরকে কেন ডেকে পাঠানো হয়েছে ? তারা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না। তারা ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে জানান, সিঙ্গেল বেঞ্চ এই মুহূর্তে মামলার সময় বদল করুক। তবে বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেন, তার রায় বদল হবে না এবং তার সাথে সাথে জানানো হয় এই মামলা শোনা হবে। বিচারপতি প্রশ্ন করে বলেন, কমিটির মধ্যে যাদেরকে সিবিআই অফিসে ডাকা হয়েছিল, তারা সিবিআই অফিসে কেন গেলেন না ?
এরপর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, সমরজিত্ আচার্য ও পি কে বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুপুর ২টোর মধ্যে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয় এবং অলোক কুমার সরকার ও টি পাঁজাকে ৩টের মধ্যে সিবিআই দপ্তরে গিয়ে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন। তারপরই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চে ঘোষণা করে, গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি, এসএলএসটি -এর সমস্ত মামলা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন।
হরিশ ট্যান্ডন এই মালদা থেকে সরে দাঁড়ানোর পর দায়িত্বভার গিয়ে পড়ে টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের ওপর। কিন্তু তার একাধিক মামলা থাকার কারণে তিনি এই মামলার দায়ভার নিতে রাজি হন নি। তারপর এই মামলাটি বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে গিয়ে পৌঁছায়।
কিন্তু তিনিও এই মামলা নিতে অস্বীকার করে দেন। একাধিক বিচারপতির দরজায় ধাক্কা খেয়ে এই মামলাটি পৌঁছায় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ডিভিশন বেঞ্চে। গতকাল দিনভর এই মামলা নিয়ে টালবাহানার তারপর আজ মঙ্গলবার দিনের শুরুতে এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ালো বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ডিভিশন বেঞ্চ।