পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ স্ত্রীকে চড় মারার অভিযোগে জামাই-এর উপর চড়াও শ্বশুর বাড়ির লোকজন। হাত-পা বেঁধে জামাই মোফিজুল মোল্লাকে বেধড়ক মারধর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের। যার জন্য চিকিৎসাধীন হতে হয় মোফিজুলকে। চিকিৎসার পরে ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের করেন জামাই মোফিজুল মোল্লা। চলছে তদন্ত।
ঘটনাটা ঠিক কি ঘটেছিল সেদিন? সূত্র মারফতে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার শশুরবাড়ির এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মোফিজুল। সাথে গিয়েছিলেন তার স্ত্রীও। আর সেখানে গিয়ে সেদিন রাত্রিবেলা স্ত্রীকে একা ঘুরতে দেখে জামাই মোফিজুল। আর সেই দেখে স্ত্রীকে একা একা ঘোরার কারণ জানতে চায় জামাই। তবে সেই প্রশ্নের উত্তর না পেয়ে স্ত্রীকে সপাটে চড় মারে জামাই মোফিজুল। আর এই অভিযোগের পরই জামাইকে ধরে বেধড়ক মার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের।
ক্যানিং থানার অন্তর্গত দীঘিরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর অঙ্গদবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মোফিজুল মোল্লা। অপরদিকে দাঁরিয়া তেঁতুলবেড়িয়া গ্রামের মেয়ে হলেন এসমা। ১৪ বছর আগে বিবাহ হয় উত্তর অঙ্গদবেড়িয়ার মোফিজুলের সাথে তেঁতুলবেড়িয়ার এসমার। তাদের দুই পুত্র এবং এক কন্যা সন্তানও রয়েছে।
তবে সম্প্রতি শ্বশুরবাড়িতে ঘুরতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটে মোফিজুলের সাথে। মোফিজুল-এর অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির এলাকায় এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি। আর সেখানে তার স্ত্রীকে একা ঘুরতে দেখে তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন কেন সে একা ঘুরছে? আর তার উত্তর না পেয়ে তিনি চড় মেরেছিলেন তার স্ত্রীকে। আর তারপরেই কাকাশ্বশুর এবং শাশুড়ি মিলে তার হাত-পা বেঁধে বেধড়ক মারধর করে। এমনকি তার থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা ও বাইকও কেড়ে নেয় বলে অভিযোগ করেছেন মোফিজুল।
এছাড়া মফিজুল এও জানায় যে, তাকে মারধর করার পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার হাত-পা বেঁধে তাকে ফেলে দিয়ে যায়। তবে পরবর্তীতে তাকে এই অবস্থায় দেখতে পায় তার মামাতো বোন। দেখে তার বাঁধন খুলে তাকে উদ্ধার করে এবং তার বাড়িতে ফোন করে। তারপর তার বাড়ির লোক তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আর এরপরেই হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সোজা ক্যানিং থানায় পৌঁছে শ্বশুরবাড়ির নামে অভিযোগ করেন জামাই মোফিজুল। মফিজুল জানিয়েছেন, তিনি পুরো বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছে এবং প্রশাসন তদন্ত শুরু করেছে। তবে প্রশাসন তরফে শ্বশুরবাড়ির কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে জানিয়েছে মোফিজুল।