
পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ কলকাতার আনন্দপুরের ফর্টিস হাসপাতালে পরিদর্শন টিম পাঠানো হছে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন এর পক্ষ থেকে। হাসপাতাল গুলিকে বারবার সতর্কবার্তা দিয়েও কোনো রকম লাভ হচ্ছে না। তাই এবার পরিদর্শন টিম যাচ্ছে আনন্দপুর ফর্টিস হাসপাতালে।
জানা গিয়েছে, বিহারের এক বাসিন্দা একাধিক সমস্যা নিয়ে কলকাতার আনন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ৫৯ বছরের ওই বয়স্ক মহিলা গত জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে ওই হাসপাতলে ভর্তি হয়েছিলেন এবং তিনি গত ১০ ই মার্চ পর্যন্ত ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। এরপর তার পরিবারের সদস্যরা তাকে যখন ডিসচার্জ দিয়ে বাড়িতে নিয়ে যেতে চান, তখনই বড় সমস্যার সম্মুখীন হন নবীজান বিবির স্বামী ইমাম হোসেন। ওই মহিলার চিকিৎসা বাবদ হিসেবে ইমাম হোসেনের হাতে ২৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার একটি বিল রশিদ ধরিয়ে দেওয়া হয়। হাসপাতালের ওই বিল দেখে অবাক হয়ে ওঠেন ওই ব্যক্তি।
ওই মহিলার স্বামী জানিয়েছেন, এর আগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা চিকিৎসা বাবদ দেওয়া হয়েছে। এখনো পর্যন্ত বকেয়া টাকার পরিমান ১৮ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা। তবে ইমাম হোসেন জানিয়েছেন, বকেয়া টাকার পরিমাণ তিনি দিতে রাজি। কিন্তু তা যেন ন্যায্য হয়। হাসপাতাল কতৃপক্ষের তরফ থেকে যে বিল তার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে তা অনেকটা বেশি বলেই মনে হচ্ছে ইমাম হোসেনের। যার কারণে তিনি পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য কমিশনের দ্বারস্থ হন।
এর আগে ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে চারবার অভিযোগ উঠেছিল। এবার পঞ্চম অভিযোগ জানিয়েছেন ইমাম হোসেন। পঞ্চম অভিযোগের পর এবার আনন্দপুর ফর্টিস হাসপাতালে যাচ্ছে পরিদর্শন টিম এবং ইমাম হোসেনের সেই বিল খতিয়ে দেখছে স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন। এই ঘটনায় রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিভিন্ন খাতে অসম্ভব বিল দেওয়া হয়েছে। ওই হাসপাতাল রাজ্য সরকারের তরফ থেকে দেওয়া অ্যাডভাইসরি মানছে না। বাজারে ঔষধের যা দাম, তার তুলনায় অনেক বেশি দাম নিয়েছে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এই ঘটনা খতিয়ে দেখে কমিশনের চেয়ারম্যান জানিয়েছে ১৮ লাখ টাকা নয়, ১৬ লক্ষ টাকা কিস্তিতে দিতে হবে রোগীর পরিবারকে। ৪ মাস পর থেকে প্রতি মাসে ২ লক্ষ টাকা করে কিস্তি ভরতে পারবেন ইমাম হোসেন। এছাড়াও জানানো হয়েছে, হাসপাতালে ইনস্পেকশন টিম যাবে এবং তারা গত এক মাসের সমস্ত বিল খতিয়ে দেখবে। ওই হাসপাতাল কোনরকম অ্যাডভাইসরি মানছে না বলে দাবি জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান।