laxmi bhandar, duare sarkar, mamata banerjee, লক্ষীর ভান্ডার, লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প
ব্যাপক প্রভাব ফেলছে "লক্ষীর ভান্ডার" প্রকল্প, মাত্র ২৩ দিনে এক কোটিরও বেশি আবেদন | ছবি - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্য সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একাধিক প্রকল্প চালু করা হয়েছে। তারই মধ্যে বাংলার মা-বোনেদের কাছে অতি জনপ্রিয় একটি প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন মমতা। তার কথা মতই নির্বাচন শেষে শুরু হয় “লক্ষীর ভান্ডার” প্রকল্পের কাজ। তবে দেখতে না দেখতেই ব্যাপক প্রভাব ফেলছে এই “লক্ষীর ভান্ডার” প্রকল্প। প্রায় এক মাসেরও কম সময়ে, এক কোটিরও বেশি “লক্ষীর ভান্ডার” প্রকল্পের আবেদন পত্র জমা দিয়েছে বাংলার মা বোনেরা।

নবান্ন সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প দুয়ারে সরকার গত ১৬ ই আগস্ট থেকে শুরু হয়েছিল। দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে রাজ্যের একাধিক প্রকল্পের আবেদনপত্র জমা নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন রকম প্রকল্পের পরিষেবার পাশাপাশি “লক্ষীর ভান্ডার” প্রকল্পে দেখা গিয়েছে ব্যাপক প্রভাব। গতকাল অর্থাৎ বুধবার নবান্নের রিপোর্ট অনুযায়ী মাত্র ২৩ দিনে ১ কোটি ৮ লক্ষ মানুষ বাংলার মা ও বোনেরা “লক্ষীর ভান্ডার” প্রকল্পের আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। এক মাসের মধ্যে বাংলার দুই কোটি মা-বোনেরা “লক্ষীর ভান্ডার” প্রকল্পের আবেদন পত্র জমা দিতে পারেন বলে মনে করছে নবান্ন।

এখনো পর্যন্ত “লক্ষীর ভান্ডার” প্রকল্পের আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছেন রাজ্যের ১ কোটি ৫৬ লক্ষ মানুষ। তবে ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ নথিপত্র দিয়ে আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন বাংলার ১ কোটি ৮ লক্ষ মানুষ। নবান্নের রিপোর্ট অনুযায়ী রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৬৫ হাজার ৭১ টি দুয়ারে সরকার শিবির করা হয়েছে। 

জানিয়ে রাখি, রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনের আগে সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন। তারই মধ্যে একটি হচ্ছে “লক্ষী ভান্ডার” প্রকল্প ও আরেকটি হলো “স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড।” তবে এই “লক্ষীর ভান্ডার” প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলার মা-বোনেরা স্বনির্ভর হতে প্রতি মাসে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পাবেন ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা। যারা জেনারেল ক্যাটাগরির মধ্যে পড়েন তাদেরকে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে দেওয়া হবে ৫০০ টাকা করে এবং যারা এসটি, এসসি এবং ওবিসি তাদের প্রতি মাসে দেওয়া হবে ১ হাজার টাকা করে।