mamata banerjee, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, লকডাউন, বাড়ানো হল লকডাউন,
ছবিঃ ফেসবুক

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের রাশ টানতে সক্ষম হয়েছে রাজ্য সরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে কার্যত লকডাউন এর জেরেই করোনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে গোটা দেশ সহ এ-রাজ্য। বর্তমানে করোনা সংক্রমনের সংখ্যা দিন প্রতি পাঁচ হাজারের নিচে এসে দাঁড়িয়েছে।

করোনা সংক্রমনের বাড়বাড়ন্তির জেরে গত মে মাসের ১৬ ই মে রাজ্যে লকডাউন এর ঘোষণা করা হয়। তবে কোভিড বিধিনিষেধ সম্পন্ন হওয়ার আগেই ফের ১৫ দিনের জন্য বাড়িয়ে দেওয়া হল বিধি নিষেধের সময়সীমা। তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।

যার জেরে বঙ্গের মানুষ বেশিরভাগই আশা করেছিল হয়তো এবার কোভিড বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হবে। তবে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কয়েক দিন আগেই জানানো হয়েছিল বিধিনিষেধ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে বিধি নিষেধ বাড়িয়ে করেছিলেন ১৫ ই জুন পর্যন্ত। কিন্তু সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই আজ ফের ১৫ দিনের জন্য বিধি নিষেধ বাড়িয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

harikrishna dwivedi, mamata banerjee, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, লকডাউন, বাড়ানো হল লকডাউন,
ছবিঃ ফেসবুক

আজ রাজ্যের মুখ্য সচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী-কে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই তিনি জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হচ্ছে না, তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী ১’লা জুলাই পর্যন্ত জারি থাকবে কড়া বিধিনিষেধ।

বর্তমানে যারা করোনা টিকা গ্রহণ করেছেন তাদের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ছাড় দেওয়া হয়েছে। টিকা নিয়ে থাকলে ঘুরতে যেতে পারবেন পার্কে। এছাড়াও ভ্রম্যমান স্থানগুলিতে যেতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ দলবদলু মুকুল রায়কে নিয়ে মাঠে নামলেন শুভেন্দু অধিকারী, মিলতে পারে নতুন চমক

বিধি-নিষেধের অধিকাংশ ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হলেও রেল, মেট্রো এবং বাস পরিষেবা চালু করা হয়নি। তবে জরুরি ভিত্তিতে ট্যাক্সি বা অটো পরিষেবা চালু রাখার কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও বাজার ঘাট ও দোকানপাটের উদ্দেশ্যে জানানো হয়েছে, সকাল ৭ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বাজার ঘাট ও মুদি দোকান গুলি। এর পাশাপাশি সকাল ১১ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত জুয়েলারি দোকান ও শপিংমল এই সব ধরনের দোকানপাট গুলি খোলা থাকবে। এছাড়াও বেলা ১২ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে রেস্তোরাঁ, পানশালা ও হোটেল।

তবে শপিংমলের ক্ষেত্রে জানানো হয়েছে মাত্র ৩০ শতাংশ গ্রাহক নিয়ে ব্যবসা চালাতে হবে শপিংমল কর্তৃপক্ষের। এছাড়াও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে টলিপাড়ার শুটিং এর ক্ষেত্রেও বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে মাত্র ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চালাতে হবে।

আরও পড়ুনঃ “ভারতীয় ভ্যাকসিন এর উপর বিশ্বাস নেই রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধীর”

এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি অফিস গুলির ক্ষেত্রে জানানো হয়েছে, সকাল ১০ টা থেকে ৪ টে পর্যন্ত অফিস খোলা রাখা যাবে এবং রোটেশান পদ্ধতিতে ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে হবে।