West Bengal Board of Secondary Education, test paper, madhyamik, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র, মাধ্যমিক
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমিকের টেস্ট পেপারে 'আজাদ কাশ্মীর'-এর উল্ল্যেখ! কড়া ব্যবস্থার নির্দেশ

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ‘আজাদ কাশ্মীর’-এর উল্লেখ নিয়ে উত্তপ্ত গোটা বাংলা। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এই বিষয়ে নিয়ে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পর্ষদের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যে সমস্ত স্কুলের প্রশ্নপত্রে ‘আজাদ কাশ্মীর’ কথাটি উল্লেখ রয়েছে সেই সমস্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রতিবছর বিভিন্ন নামজাদা স্কুলের মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে টেস্ট পেপার সংকলন করে থাকে। আর এবছর সমস্যা বাঁধে সেখানেই। টেস্ট পেপারের তিনটি স্কুলের ইতিহাসের প্রশ্নপত্রে দেখা যায় আজাদ কাশ্মীরের উল্লেখ। মঙ্গলবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার সাথে সাথে শিক্ষা মহলের সাথে রাজনৈতিক মহলেও হুলুস্থুল কান্ড বাঁধে। বিতর্কিত শব্দদ্বয়ের উল্লেখ রয়েছে টেস্ট পেপারের ১২৮, ১৩২ এবং ১৭২ নম্বর পৃষ্ঠায়।

গোটা বিষয় নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবী জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। তিনি জানান যে, এমন ঘটনা অনভিপ্রেত। এই প্রশ্নপত্র যিনি বা যারা তৈরি করেছেন তারা দেশবিরোধী কার্যকলাপ এবং সন্ত্রাসবাদে যুক্ত হবার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের অনুপ্রাণিত করছেন। বিষয়টি রাজ্যের গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত রাজ্যে শিক্ষামন্ত্রীকে উচিত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং উক্ত টেস্ট পেপার প্রকাশনার সংস্থাটিকে অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া।

বিতর্ক মাথা চাড়া দিতেই বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয়ে ওঠে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তড়িঘড়ি সন্ধ্যের মধ্যেই পর্ষদের ওয়েবসাইটে টেস্ট পেপারের সংশোধনী কপি প্রকাশ করা হয় এবং ওই দিনই পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় এই ঘটনায় জড়িত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।

তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে একটি সংশোধনী জারি করা হয়েছে। প্রশ্নপত্রে সমস্যা এবং সতর্কতার চিঠি পাওয়া গিয়েছে। প্রশ্নপত্র তৈরি করা ৬ জন শিক্ষক ও বেসরকারি বই প্রকাশককেও সতর্ক করা হয়েছে। পর্ষদ বিশেষভাবে নজর রাখবে যাতে ভবিষ্যতে এরকম কোন ঘটনা না ঘটে।